মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল সড়কের করুন দশা
রুহুল আমিন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ আধুনিক সদর হাসপাতালের উত্তর প্রবেশ পথের দুই পাশ বিভিন্ন হোটেল ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা আর্বজনার ভাগারে পরিনত হয়েছে। লাইট বা কোনো বৈদ্যুতিক আলো না থাকায় ঘুটঘুটে অন্ধকার সড়কটি রাতের বেলায় ব্যাবহার করতে পারছে না বৃহত্তম এই হাসপাতালটিতে সেবা নিতে আসা রোগীরা। যার ফলে রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির দুই পাশে ইট, বালু, সিমেন্ট এর খুটি, কাঠের চোকি, হোটেলের টেবিল, চুলা, টিন, রডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হালকা জিনিসপত্র ও ময়লা ফেলে স্তুপ বানিয়ে রাখা হয়েছে রাস্তার দু’পাশে। উত্তর পাশে হোটেল গুলোর ময়লা আবর্জনার পানি স্থানান্তর করতে সড়কটির উপর মাটি দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী ড্রেন, যেখান দিয়ে দূর্গন্ধ যুক্ত হোটেলের ময়লা আবর্জনা ও পানি চলাচল করে।
এছাড়াও হোটেল, ক্লিনিকসহ বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা ঐ সড়কের দুই পাশে ফেলা হচ্ছে। পথচারী ও বিভিন্ন মটর শ্রমিকররাও হালকা হওয়ার কাজটাও সেরে নিচ্ছে রাস্তার দুই পাশে। বহির বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা এক কলেজ শিক্ষার্থী জানান, কিছু দিন আগে এই হাসপাতালটির পুরাতন ভবনে আমার মা ভর্তি ছিলেন, সড়কটিতে কোনো লাইট না থাকায় রাতের বেলা প্রায় ৪০ গজ সড়কের আশে পাশে কিছু দেখা যায় না। ফলে আমাদের যে কোনো প্রয়োজন মেটাতে সুধু মূল ফটক টি ব্যাবহার করতে হয়। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, অপরিকল্পিত ভাবে এই সড়কটি নির্মান করা হয়েছে।
একটু বৃষ্টি হলেই সড়কটিতে পানি জমে যায়, ফলে পাশের হোটেলের ময়লা পানি, পুকুরের পচা পানি ও বৃষ্টির পানি মিলে একাকার হয়ে যায় রাস্তাটি। এছাড়াও হাসপাতালের নিকটবর্তী অংশে সড়কটির দুই পাশেই রয়েছে ঘন জঙ্গল ও ক্লিনিক -হোটেলের আবর্জনার স্তুপ। উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ সদর হাসপালের মাত্র দুইটি প্রবেশ পথ দিইে চলাচল করতে হয় রোগী, মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ও কতৃপক্ষ, নার্সিং ইস্টিটিউট এর শিক্ষার্থী ও কতৃপক্ষ, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও হাসপাতাল কতৃপক্ষদের।
এছাড়াও হাসপাতালের স্টাফ কোয়াটারের পাশাপাশি পূর্ব পাশের একটি আবাসিক এলাকার মানুষও এ প্রবেশ ফটক দুইটি ব্যাবহার করে। সড়ক দুইটিতে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে। এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: মো: সাইফুর রহমান জানান, সড়কটি সংরক্ষিত রাখতে একজন পাহারাদার নিযুক্ত করা হয়েছে, ভাষমান ব্যাবসায়ীদের দোকান বা জিনিসপত্র সরিয়ে দিলে তারা আবার বসে পড়ে।
এখানো রাস্তার কিছু কাজ বাকি আছে। মাটির স্তুপ ও জঙ্গল পরিস্কার করে রাস্তা সমান ও পূর্ণাঙ্গ ব্যাবহার উপযোগী করা হবে। পিডব্লিউডির ফার্ন্ড সংকটের কারনে কাজগুলো থেমে আছে। খুব শিঘ্রই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।