মাগুরাতে পৃথক ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তা ও এক কনোস্টেবলের আত্মহত্যা

মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) লাবনী আক্তারের ঝুলন্ত লাশ এবং পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদাহ গ্রামের বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার লাবনী আক্তার (৪৫) বুধবার রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানা মৃত কুদ্দুস মাষ্টারের বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।পরিবারের সদস্যরা ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাবনীর পিতা খন্দকার শফিকুল আজম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নাকোল রাইচন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক। লাবনী আক্তারের স্বামী মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের তারেক আব্দুল্লাহ বর্তমানে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থান করছে। তারেক আব্দুল্লাহ পেশায় একজন ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (এডি) হিসেবে ঢাকাতে কর্মরত। লাবনী আক্তার খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি দুই দিন আগে ছুটিতে মাগুরার শ্রীপুরের নানা বাড়িতে আসেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
অন্যদিকে গতকাল ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা পুলিশ লাইনস থেকে এক কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পুলিশ লাইন ব্যারাকের ছাদ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মাহমুদুল হাসান (২৩) নামের ওই কনস্টেবলের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়। দেড় মাস আগে তিনি মাগুরায় বদলি হয়ে আসেন। পুলিশের ধারণা, নিজ নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, মাহমুদুল ডিউটি শেষে ভোরে ব্যারাকে ফিরে ছাদে গিয়ে নিজ নামে ইস্যু করা শটগান দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুলির শব্দ শুনে অন্যরা গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তাঁর থুতনি দিয়ে গুলি ঢুকেছে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন জানা যায়নি।
« আরো এক হাজার মুজিবকিল্লা ও এক হাজার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করবে সরকার — ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী (পূর্বের খবর)