মহান স্বাধীনতা দিবসে তথ্যমন্ত্রী নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে স্বাধীনতার চেতনায় দেশ গড়ুন
‘স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের ত্যাগ ও স্বপ্নের প্রতি সম্মান না জানিয়ে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিকেই বিএনপি’র অঙ্গীকার হিসেবে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বর্ণনা দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি আশা করি, বিএনপি’র রাজনীতি বেগম জিয়ার হাঁটুর ব্যাথা, তারেক জিয়ার মামলা – এসব থেকে মুক্তি পাক। শহীদদের ত্যাগ ও স্বপ্নের প্রতিসম্মান জানিয়ে স্বাধীনতার চেতনায় উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়াই স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকার হওয়া উচিত।’
আজ ঢাকায় কাকরাইলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি তথ্য অধিদফতরের সহযোগিতায় আয়োজক সংস্থার আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন ও মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান বিষয়ে ‘আমরা তোমাদের ভুলবোনা’ শীর্ষক প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি দেখেন। বক্তব্যের শুরুতেই ড. হাছান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ভাষা সংগ্রামীসহ সকল শহীদের প্রতি গভীর সম্মাননা জানান। মন্ত্রী বলেন, ‘পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর থেকে তাঁর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা চলেছে।
কিন্তু সেইঅপচেষ্টাকারীরাই ইতিহাস থেকে মুছে গেছে আর বঙ্গবন্ধু রয়েছেন চিরঞ্জীব।’ মন্ত্রী এ সময় একাত্তরের মর্মান্তিক গণহত্যা প্রসঙ্গে বিএনপি’র সমালোচনা করে বলেন, ‘গতকাল পঁচিশে মার্চ ছিলো গণহত্যা দিবস। আওয়ামী লীগ, ১৪ দলসহ দেশের বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি পালন করলেও বিএনপি করেনি। বেগম খালেদা জিয়া এবং পাকিস্তান উভয়েই ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলো।’ ‘যারা শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তারা দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে?’, প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী।‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন আজ বিশ্বে আমাদেরকে সম্মানজনক পরিচিতি দিয়েছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অগ্রগতি আরো ত্বরান্বিত হতো যদি বিএনপি-জামাত নেতিবাচক রাজনীতি না করতো।
নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে দেশের স্বার্থে স্বাধীনতার চেতনায় উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার কাজে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ জাকির হোসেন। অধিদপ্তরের পরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া সূচনা বক্তব্য দেন।