মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ডিপ্লোম্যাটিক রিসেপশন

নিউইয়র্ক, ২৮ মার্চ : নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় গতকাল বিদেশী অতিথি ও কূটনীতিকদের সম্মানে একটি ডিপ্লোম্যাটিক রিসেপশনের আয়োজন করা হয়। উক্ত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল, কূটনীতিক, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিস, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট অফিসের প্রতিনিধি, বিদেশী অতিথি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা, ত্রিশ লক্ষ শহিদ ও দুই লক্ষাধিক নির্যাতিত মা-বোনদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রায় সকল সূচকে অভাবনীয় অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন। নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার সাথে সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে দু’দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর ও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিসহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলা এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।