মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে রায়পুরে ডাকাতিয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন

আবদুল কাদের, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের ডাকাতিয়া নদী থেকে বিমান মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে নিষিদ্ধ বালু উত্তলোনের অভিযোগ পাওয়া গেছে জনৈক কিরন ওরফে বালু কিরন নামে। প্রকাশ্যে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করায় এতে চরম ঝঁকির মধ্যে পড়েছে লক্ষ্মীপুর-হায়দরগঞ্জ বেড়ী বাঁধ ও সড়ক, স্থানীয় হাজীমারা স্কুল গেইট, হাজার হাজার বসতি, দোকানপাঠ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
যেকোন সময় এ গুলো নদীগর্ভে বিলীনের আতংকে রয়েছে বিভিন্ন শ্রেনী- পেশার লাখো মানুষ। ফলে বালু ব্যাবসার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে সাধারন মানুষরে মধ্যে ঝুঁকি তৈরী করায় এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। আর একে ঘিরে এলাকাবাসী এর প্রতিকারের দাবী জানিয়ে ওই মন্ত্রনালয়ের সচিব, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু এখনো এর সুফলের কোন লক্ষন দেখা যায়নি বলে স্থানীয়দের দাবী।
স্থানীয়রা জানায়, দীঘদিন থেকে হাজিমারার পার্শ্বে ডাকাতিয়া নদী থেকে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও বদরুদ্দিন মোল্লা সহযোগিতায়, কলোনীতে বসবাসরত স্কুল গেইট অপারেটর মোজাম্মেল মাষ্টার,যুবলীগের শাহজান গাজী, শেখর সহ কয়েকজন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করেই দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তেলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এছাড়া অভিযোগে রয়েছে, রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের টুকুমিয়া চৌধুরী বাড়ীর বালু ব্যবসায়ী কিরন চৌধুরী তার বালু কাটার ড্রেজার মেশিন দিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান ও খাল বিল, নদী থেকে নিজের ইচ্ছামতো নিষিদ্ধ বালু উত্তলন করে যাচ্ছেন। অবশ্য কিরন নিজেকে বে-সামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন মন্ত্রি এ কে এম শাহাজাহান কামাল এর শ্যালক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্নভাবে এর প্রভাব খাটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে মন্ত্রীর পারিবারিক পক্ষ থেকে এ বিষয় কিছু জানা কিংবা তার বিষয়ে কিছুই জানা শোনা নেই বলে দাবী করা হয়েছে ।
তবে এর পরও ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা বলে জানাযায়। অনতিবিলম্বে তদন্ত পূর্বক তার সকল অপকর্ম বন্ধ করে তাকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এ দিকে অভিযোগের আলোকে সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, বে-সামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন মন্ত্রির শশুর বাড়ী জেলার রায়পুর উপজেলা বামনী ইউনিয়নের টুকুমিয়া চৌধুরী বাড়ী হয়। আর কিরন ওই বাড়ীর মন্ত্রির স্ত্রী’র দুর-সম্পর্কেও নিকটাত্মিয় হয়। এ সুযোগে কিরন সে নিজেকে মন্ত্রির শ্যালক হিসেবে পরিচয় দিয়ে নির্বিঘে্ন সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে অবজ্ঞা করে এলাকায় যত্রতত্র বালু উত্তলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে এলাকার মানুষের বসবাস ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়ায় এ নিয়ে একদিকে উত্তেজনা মৃষ্টি সহ ইতিমধ্যে তার অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরু প্রভাবে এলাকার কিছু ঘর বাড়ীতে ধস নামতে শুরু করেছে। এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। তারা অনতিবিলম্বে বালু কিরনকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।