প্রধান মেনু

মধুখালীতে জামায়াত নেতা লিয়াকত গংদের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর উপর হামলা ও জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক লিয়াকত গংদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্রতিবেশীদের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মধুখালী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গাড়াখোলা এলাকার আবু কালাম বিশ্বাসদের বসতবাড়ির প্রায় ৫ শতাংশ জমি তারা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এছাড়া পাশ্ববর্তী তুজাম মোল্যার এক শতাংশ জমি ক্রয় করে দুই শতাংশ দখল করে রেখেছে বলেও ভুক্তভোগীরা জানান।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মধুখালী পৌরসভার গাড়াখোলা মৌজার ১০৮৬ নম্বর দাগের ৪৭ শতাংশ জমি রয়েছে। এই জমি সমানভাবে দুটি অংশে বিভক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২৩.৫ শতাংশ রয়েছে মৃত ছবেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ইশারত আলী বিশ্বাস (৬৫), লিয়াকত আলী বিশ্বাস (৬০), কেরামত আলী বিশ্বাস, শুকুর আলী বিশ্বাস, গেনদা আলী বিশ্বাস গংদের নামে রয়েছে। বাকি ২৩.৫ শতাংশ রয়েছে মৃত কাউছার বিশ্বাসের ছেলে মোঃ আবুল কালাম বিশ্বাস, ফাহাদ বিশ্বাস, বাশার বিশ্বাস, ফরহাদ বিশ্বাসদের নামে। কিন্তু এই জমির ১৮.৫ শতাংশ ব্যবহার করছেন এবং বাকি ৫ শতাংশ লিয়াকত গংরা দখল করে রেখেছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
আবুল কালাম বিশ্বাসের ভাগ্নে উজ্জল বিশ্বাস জানান, আমার ৪ মামার মধ্যে তিন মামা বাহিরে থাকেন, একজন বাড়িতে থাকেন। আমার জন্ম নানা বাড়িতেই, এখানেই আমি বিয়ে করে বসবাস করে আসছি এবং মামাদের পরিবারকে দেখাশুনা করে যাচ্ছি। কিন্তু আমার মামাদের ৫ শতাংশ জমি প্রতিবেশী জামায়াত নেতা লিয়াকত গংরা দখল করে রেখেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাদের হামলা করতে আসে। বাড়ি’র মহিলাদেরও মারতে যায়। আমার প্রতিবন্ধী মামাতো ভাইয়ের উপরেও তারা কয়েকবার হামলা করেছে।
এ বিষয়ে গত ৪/০৯/২০২১ ইং তারিখে উপজেলা চেয়ারম্যান দু’পক্ষকে ডেকে মিমাংসা করতে বললেও তারা মিমাংসায় আসে না। আমি বাড়িতে একা থাকি। তারা বিভিন্নভাবে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ঘরে বিভিন্ন সময় তারা ইটপাটকেল মারে। গত কয়েকদিন আগে তারা আমাদের পরিবারের উপর হামলা করেছে।
এদিকে দেখা যায় একটি ঝুপড়ি ঘরে দুই ছেলেকে নিয়ে বসবাস করছেন মৃত তুজাম আলীর স্ত্রী। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, লিয়াকতের কাছে আমার স্বামী এক শতাংশ জমি বিক্রি করেছে কিন্তু তারা ২ শতাংশ জমি দখল করে রেখেছে। আমরা গরিব মানুষ, তাদের কিছু বলতে পারি না।
এছাড়া এই জামায়াত নেতা লিয়াকতের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে জমি দখলের অভিযোগও উঠে আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, লিয়াকত বিশ্বাস অবৈধভাবে জায়গা দখল করে দোতলা বাড়ি করেছে। বিএনপি আমলে জমিটি তারা দখল করে নেয়। এই জমিটি সাবেক সেনা সদস্য বৈকন্ঠপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছিলো। পরে তিনি মাত্র দেড়লক্ষ টাকার বিনিময়ে জমিটি বিক্রি করে এখান থেকে চলে যায়।
ভুক্তভোগী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে একাধিক বার অভিযোগ করলেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই। অভিযোগের বিষয়ে লিয়াকত বিশ্বাস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আপনাদের কারা অভিযোগ দিয়েছে? আমরা কোনো জমি দখল করে রাখি নাই। উল্টো ঐ বাড়ির লোকজন আমাদের মারতে আসে। আর তুজাম মোল্যার জমির বিষয়টি ভিত্তিহীন অভিযোগ।