প্রধান মেনু

ভোলায় করোনা ঝুঁকি নিয়েই জ্বর সর্দির চিকিৎসা দিচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা, পাচ্ছেনা সুরক্ষা সরঞ্জাম ।

নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যেখানে অনিক ডাঃ এই মহান পেশা ছেড়ে দিয়েছে সেখানে করোনা ঝুঁকি নিয়েই জ্বর সর্দিতে আক্রান্তদের সেবা দিচ্ছে ভোলার কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা। অভিযোগ সংক্রমণের শঙ্কা থাকলেও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নেওয়া হয়নি কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা। তবে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী পাঠানোর দাবি সিভিল সার্জনের। করোনার ভয়ে ভীতু মানুষ। হাসপাতালে কমছে সাধারণ রোগীর চাপ। ফলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে ভোলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ছুটছেন রোগীরা। যাদের মধ্যে জ্বর -সর্দি -কাশি আক্রান্তদের সংখ্যাই বেশি। এমন পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই সেবা দিচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীরা।

উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করে এমনই চিত্র দেখা যায়। সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চরকালী কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি সুমন জানান, করোনা সংক্রমণ হয়েছে কিনা সেটা জানার আগেই তারা (রোগীরা) আমাদের এখানে প্রাথমিক সেবাটা নিতে আসে। তো সেক্ষেত্রে আমাদের জীবনেরও ঝুঁকি বেশি থাকে। তিনি আরও জানান, আমরা এখনো হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাইনি। অথচ একজন আক্রান্ত হলে ভয়াবহতা (কোভিট-১৯) ছড়িয়ে পড়তে পারে পুরো কমিউনিটি ক্লিনিকের ক্যাচমেন্ট এরিয়ায়। চরসামাইয়া ইউনিয়নের চর ছিফলী ক্লিনিকের সিএইচসিপি খাদিজা বেগম জানান, করোনায় কেউ যদি একজন আক্রান্ত থাকে। তাহলে তো আমরা নিজেরাই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আমাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী নেই। জানা যায়, বর্তমানে দেশে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। যার মধ্যে ভোলায় রয়েছে ২১৬টি। ভোলা জেলা সিএইচসিপি এসোসিয়েশন এর সভাপতি মোঃ মাকসুদর রহমান জিলাদার জানান, স্ব স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য দুইটি মাস্ক ও দুটি হ্যান্ডগ্লোভস্ দেওয়া হয়েছে। যা মাত্র একবার ব্যবহার করা যায়। তিনি আরও জানান, ভোলা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান আহমেদ নিজ ফান্ড থেকে উপজেলার সকল কর্মচারীদের মাঝে মাস্ক দিয়েছেন।

এবং সকল পর্যায়ের কর্মীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে কাজের মানকে আরো ত্বরান্বিত করে চলছেন। ওই সিএইচসিপি দাবি করে জানান, সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পিপিই এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক দিলে স্বাস্থ্যকর্মীরা সুরক্ষায় থেকে   সেবাদান কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে পারবে। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত স্বাস্থ্য বিভাগে ১০০ কোটি টাকার প্রণোদনায় যাতে সকল সিএইচসিপিরাও অন্তভূর্ক্ত হয় এ দাবি জানান তিনি।

ভোলা সিএইচসিপি এসোসিয়েশন এর সম্পাদক- মোহাব্বত আলী জানান, আমরা দেশের এই দূ্র্যোগময় মুর্হুতে সেবা দিতে পেরে গর্বিত কিন্তু যথাযথ সুরক্ষার অভাবে আমাদের জীবন শংকিত। জেলা সিভিল সার্জন রতন কুমার ডালি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা সকল স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে দুইটি হ্যান্ডগ্লোভস্ ও দুটি করে মাস্ক দিয়েছি। স্বাস্থ্যকর্মীদের যদি পিপিই মাস্ক হ্যান্ডগ্লোভসসহ অন্যান্য আরও কিছুর প্রয়োজন হয়। তাহলে স্বাস্থ্যকর্মীরা আমাদেরকে তা জানালে আমরা তা দিতে প্রস্তুত। এবং দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকা অপরিসীম বলে জানান তিনি।