ভোলার মেঘনায় অবাধে নিধন হচ্ছে ইলিশ পোনা, প্রশাসন ব্যস্ত করোনা নিয়ে।

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোলা শহরের সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি সাইজের ইলিশের পোনা। এগুলো (চাপিলা মাছ) নামে বিক্রি করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। মরণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসনের মাঠ কর্মকর্তারা এখন বেশী মনোযোগী থাকায় নদ-নদীতে অভিযান তেমন একটা হচ্ছেনা। এ সুযোগে দেদারছে ইলিশের পোনা আহরণ করে চাপিলা নামে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ইলিশের পোনা।
জেলেরা দাবী করছেন, দাদন ব্যবসায়ী মহাজনদের চাপের মুখে তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশের পোনা নিধন করছেন। মৎস্য অধিদপ্তর এ তথ্য স্বীকার করে জানিয়েছেন, করোনার কারনে অভিযান ব্যাহত হওয়ার সুযোগ নিয়েছে জেলে ও ইলিশ ব্যবসায়ীরা।আজ মোঙ্গলবার শহরের কালি বাড়ি রোড সংলগ্ন এলাকায় এক ব্যক্তিকে দেখা গেল কয়েকটি সাঝি ভর্তি ছোট মাছ বিক্রি করতে। ওই মাছ বিক্রেতার দাবী, এগুলো চাপিলা প্রজাতির মাছ। তবে আশপাশের পথচারীরা নিশ্চিত করেন এ মাছগুলো ইলিশের পোনা।
এর আগে শহরের ওয়েষ্টণ পাড়া, মুসলিম পাড়া রোডে দেখা যায় একাধিক মাছ বিক্রেতা ভ্যানে করে চাপিলা নামে ইলিশ পোনা বিক্রি করছে। শহরের কাঁচাবাজারসহ গ্রামগঞ্জের প্রায় সব বাজারেই ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি সাইজের ইলিশ পোনা চাপিলা নাম দিয়ে বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি মাছ বিক্রি করা হচ্ছে ২’শ টাকা দরে।জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এ অঞ্চলের নদ-নদীতে চাপিলা খুব কম পরিমানে পাওয়া যায়।
যা ধরা পড়ছে তারমধ্যে ইলিশের পোনা বেশি। তিনি বলেন, বড় জাটকার চেয়ে এখন চাপিলা সাইজের ইলিশ পোনা বেশি। তিনি বলেন, করোনার কারনে জাটকা নিধন বন্ধে প্রশাসনের অভিযান সীমিত। কিন্তু নৌবাহনী নদীতে রয়েছে।মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জাটকা (১০ ইঞ্চির কম সাইজের ইলিশ) রক্ষায় ১লা নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্তু জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞা চলছে। এর পাশাপাশি দেশের ৫টি ইলিশ অভয়শ্রমে গত ১লা মার্চ থেকে শুরু হয়েছে সব ধরনের মাছ নিধনে দুইমাসের নিষেধাজ্ঞা।
যা শেষ হবে আগামী ৩০ এপ্রিল। নিষেধাজ্ঞা পালনে উৎসাহিত করতে কার্ডধারী প্রত্যেক জেলেকে ৪ মাস ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ২ মাসের বরাদ্ধ বিতরণ চলমান রয়েছে।জানা যায়, নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের পুনর্বাসনের জন্য জাটকা কর্মসূচির আওতায় জেলার ৭০ হাজার নিবন্ধিত জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হবে। খাদ্য সহায়তা দিয়েও তাদের জাটকা নিবন্ধন করা যাচ্ছেনা।
করোনা নিয়ে প্রশাসন ব্যস্ত থাকার সুযোগে জাটকা নিধনকারীরা আরও বেপরোয়া হয়েছেন।জাটকা নিধনের বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে মৎস্য বিভাগ অভিযান চালাতে পারছেন না।