প্রধান মেনু

ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহরোধে  সমন্বিত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার—শিল্পমন্ত্রী

ঢাকা, ২৮ চৈত্র (১১ এপ্রিল) : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহরোধে সরকার সমন্বিত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। করোনা মহামারির এই লকডাউনের সময় পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, পণ্যের ওজন এবং পরিমাপে কারচুপি রোধকল্পে চলমান মোবাইল কোর্ট ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) গঠিত সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। পবিত্র রমজান মাসে জনগণ যাতে মানসম্মত পণ্য ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারে, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও প্রচার করা হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।

পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মাননিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই গৃহীত বিশেষ কার্যক্রম এবং চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) চিনি বিক্রয় কার্যক্রম সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রী ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে আজ এসব কথা বলেন। শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এতে অন্যান্যের মধ্যে বিএসএফআইসি চেয়ারম্যান মো: আরিফুর রহমান অপু ও বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ড. মো: নজরুল আনোয়ারসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই কর্তৃক আকস্মিকভাবে পরিচালিত অভিযানগুলোতে রোজাদারগণের খাদ্য ও পানীয় এবং ইফতার সামগ্রীর ওপর বিশেষ নজর রাখা হবে। রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অভাব হবে না। আমাদের চিনি ও লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। যারা কারসাজির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজি করে সরকারের কার্যক্রমে বাধাগ্রস্ত করে। কোভিডকালীন সময়ে আমাদের সরকার এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে তিনি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, বিএসএফআইসি’র প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ৬৮ টাকা এবং মিল এলাকায় খোলা চিনি কেজি প্রতি ৬৩ টাকা দরে বিক্রয় হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষ্যে ভোক্তাদের মাঝে মানসম্মত পণ্য ন্যায্যমূল্যে বিক্রির আহবান জানান। সিন্ডিকেটের মাধ্যমের পণ্যের কৃত্রিম সংকট যাতে সৃষ্টি না করতে পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান। শিল্প প্রতিমন্ত্রী করোনার এই মহামারীতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।