ভূমিমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত অধিগ্রহণ সম্পর্কিত পরিপত্র জারি

সরকার সারাদেশে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভূমি অধিগ্রহণ একটি অপরিহার্য বিষয়। ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা না গেলে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়, সরকারের উন্নয়ন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয় এবং বহুমুখী জটিলতার সৃষ্টি হয়। কিন্তু, অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করে আইনের ৪ ধারা (পূর্বের আইনের ৩ ধারা) ধারা নোটিশ জারির পর কোন কোন জেলায় অধিগ্রহণ প্রস্তাবাধীন ভূমি নিয়ে আইনের বিধান অনুসারে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিকার না চেয়ে মামলা মোকদ্দমা দায়ের করা হচ্ছে।
এমনকি একই আইনের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ৮ ধারা (পূর্বের স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল অধ্যাদেশ, ১৯৮২-এর ৭ ধারা) নোটিশ জারির পর মানুষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মাঠ পর্যায়ে কোন কোন অসাধু চক্রের যোগসাজশে অন্য একজনকে দাঁড় করিয়ে টাইটেল মোকদ্দমা দায়ের করা হচ্ছে। এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা-মোকদ্দমার কারণে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং জমির প্রকৃত মালিকগণ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ও দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন – সর্বোপরি জনস্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪২(২) অনুচ্ছেদে ক্ষতিপূরণসহ বাধ্যতামূলকভাবে স্থাবর সম্পত্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন বা মামলা না করার বিষয়ে বলা হয়েছে।
স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭-এর ৪৭ ধারায় অধিগ্রহণ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা না করার বিষয়ে বিধি নিষেধ রয়েছে। জনভোগান্তি কমানোর লক্ষ্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী সম্প্রতি এ বিষয়ক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয় ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭-এর ৪ ধারা নোটিশ জারির পর জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিকার চাওয়া ব্যতীত অধিগ্রহণ সম্পর্কিত ভূমি নিয়ে কোন প্রকার মামলা মোকদ্দমা দায়ের না করা সংক্রান্ত’ পরিপত্র জারি করে।
এমতাবস্থায়, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা এবং জনভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আইনের ৪ ধারা (পূর্বের আইনের ৩ ধারা) এবং ৮ ধারা (পূর্বের আইনের ৭ ধারা) নোটিশ জারির পর আর কোন অভিযোগ গ্রহণের সুযোগ নেই বিধায় আইনের ৪৭ ধারা যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করে ভূমি মন্ত্রণালয় আজ পরিপত্র জারি করে।