প্রধান মেনু

ভিয়েনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

ভিয়েনা, ১ পৌষ (১৬ ডিসেম্বর) : ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং নানাবিধ কর্মসূচির মাধ্যমে আজ ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে। সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে তিনি দূতাবাসের অন্য কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বিশেষ আলোচনা সভা শুরু হয়। প্রথমেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতা, ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও  পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ ও প্রচার করা হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও স্লোভেনিয়ায় বসবাসরত অর্ধশতাধিক বাংলাদেশি অনলাইনে বিজয় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে সাধারণ আলোচনায় যোগদান করেন।

দূতাবাসের প্রথম  সচিব ও দূতালয় প্রধান মোঃ তারাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাধারণ আলোচনায় বক্তাগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তাঁরা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার দূরদর্শী নেতৃত্ব, দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রাম, স্বাধীনতা-উত্তর দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক গৃহীত দূরদর্শী নানা নীতি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। তাঁরা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ধর্মনিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ণ রাখা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঠিক বাস্তবায়নের ওপর আলোকপাত করেন। বক্তাগণ বাংলাদেশ সরকারের কাছে ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও ভিয়েনায় স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি জানান।

আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।