ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর জেলা শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে গড়ে উঠেছে সঞ্চয়ের কৌশলে সুদের রমরমা ব্যবসা। এসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন এলাকায় দোকান ঘড় ভাড়া নিয়ে সেখানে বিভিন্ন নামে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে সঞ্চয়ের নামে চালিয়ে যাচ্ছে মোটা টাকার সুধের ব্যবসা। এ বিষয়ে সরেজমিনে শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় সূত্রে জানাযায় প্রতারনার বিভিন্ন অভিযোগ। উল্লেখ্য যে ফরিদপুর শহরতলীর আলিয়াবাদ ইউনিয়নের মল্লিকডাঙ্গী গ্রামে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে পাওয়ার মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি নামে একটি সঞ্চয় প্রতিষ্ঠান খুলেছে। সেখানে সাধারন মানুষের কাছ থেকে দৈনিক আদায়ের জন্য একটি বই দিয়ে একাউন্ট খোলা হয়।

একাউন্ট খোলার জন্য দিতে হচ্ছে ১০০টাকা অফেরৎযোগ্য ফি।প্রতিদিন ১০টাকা সঞ্চয়ের জন্য আদায় করা হয় কিন্তু এই সঞ্চয়ের আড়ালে মুলত চলছে সুধর রমরমা ব্যসা বলে এলাকার অনেকেই সাংবাদিকদেও জানালেন। সরেজ মিনে ঐ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেল অনেক অনিয়ম যা সঞ্চয় আইনেও অবৈধ। পাওয়ার মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটিতে ১ জন ম্যানেজার রয়েছেন । তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এস এস সি পাশ।ফিল্ডঅফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন ১জন তিনি অষ্টম শ্রেনী পাশ। কোনো নিয়োগ নেই একই পরিবারের সবাই মিলে সেখানে অনিয়তান্ত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে।

একটি বেনামে কমিটি গঠন করেছে। সাধারন মানুষের কাছথেকে একলক্ষ টাকা নিয়ে তাকে দিচ্ছে প্রতিমাসে ৭০০ টাকা অথচ এই একলক্ষটাকা সাধারন মানুষকে লোন দিয়ে প্রতিলাখে হাতিয়ে নিচ্ছে সুদ ৩০০টাকা পর্যন্ত।এই ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা সাধারন মানুষকে লোন দিয়ে প্রতারনা করছে। এছাড়া আরো জানা যায় লোন দেওয়ার সময় ষ্ট্যাম্প বাবদ, কম্পিউটার কম্পোজ বাবদ, মোহরী লেখা বাবদ ফি ৯০০ টাকা কেটে রাখে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ভ’ক্তভোগী জানালেন, সুদ যোগ করে যে কিস্তি সাধারন মানুষকে ধার্য করা হয় তা নিয়মিত পরিশোধ করতে না পারলে অশোভন আচরন করে এমন কি বাড়ি জমি,গহনা নিয়ে আটকে রাখে।

বাড়িতে মেয়ে ছেলেদের সাথে গালিগালাজ করে। এ বিষয়টি নিয়ে পাওয়ার মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটির পরিচালক কারো সাথে কথা বলতে গেলে তারা সাংবাদিককে কোনো তত্য দিবেনা বলে জানিয়ে দেয়। অফিসের ম্যানেজার সাংবাদিকদেও বলেন যা পারেন লিখেন সমস্যা নাই ।