সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের গত ১০ বছরের বিষ্ময়কর উন্নয়ন দেখে এক সময়ের তলাবিহীন ঝুড়ি বলা দেশগুলিও এখন কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশে এখন কোথাও মঙ্গা নাই। ক্ষুধা বা দারিদ্র্যের কারণে দেশের কোথাও একটি মানুষও মারা যায় নি। আগে দরিদ্র মানুষেরা কাজের জন্য বসে থাকতো, এখন বাসায় কাজ করার জন্য মানুষ পাওয়া যায় না। দেশের কিছু মানুষ এখনো ভিক্ষাবৃত্তির সাথে যুক্ত আছে সত্য তবে এই ভিক্ষুকরা দারিদ্র্যের কারণে ভিক্ষুক নয়, এরা ভিক্ষাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।

ইতিমধ্যে ঢাকার গুলশান, এয়ারপোর্ট, ধানমন্ডি, বেইলি রোডসহ বিদেশি পর্যটন এলাকা আমরা ভিক্ষুকমুক্ত করেছি। শীঘ্রই গোটা দেশকেই ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে। আজ সকালে রাজধানীর ইস্কাটনে জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের ৪৪তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় মন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভা গঠনের মধ্য দিয়ে গোটা দেশকে সাজিয়ে তোলার নতুন বার্তা প্রেরণ করেছেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির মাধ্যমে প্রতিটি পিছিয়ে থাকামানুষকে সমাজের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসতে হবে।

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেট আগের থেকে প্রায় দ্বিগুন করা হয়েছে। এখন আমাদের কাজ হবে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলস্রোতধারায় ফিরিয়ে আনা এবং তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা। জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের নির্বাহী সচিব এটিএম নাসির মিয়ারউপস্থাপনায় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজের  সভাপতিত্বে সভায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সদস্যবৃন্দ বক্তব্য রাখেন এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।