প্রধান মেনু

ভালুকায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ইউপি সদস্য বাবুল গ্রেফতার

উসমান গনি তুহীন, ভালুকা ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ভালুকার কাচিনা ইউনিয়নে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টায় ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু বকর সিদ্দিক ওরফে বাবুল মেম্বারকে স্থানীয়রা গণ ধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি ধর্ষণের চেষ্টা মামলা করেছেন।

সূত্র জানাযায়, তালাবহ গ্রামের আহাম্মদ আলী ও খলিল মিয়া যৌথ ভাবে তালাবহ বাজারে ওয়ার্ক সপের ব্যবসায় করতো।বাড়িতে আসা যাওয়ার সুযোগে আহাম্মদের সুন্দরী স্ত্রীর সাথে পারকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে খলিলের এ ঘটনায় আহাম্মদ বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার (১১অক্টোবর) পুলিশ খলিলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন স্থানীয় মেম্বার বাবুল থানায় এসে আহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে আপস মিমাংসার শর্তে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

পরদিন শনিবার (১২ অক্টোবর) স্থানীয় গ্রাম্য সালিশে বাবুল মেম্বার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আহাম্মদকে বুঝিয়ে দুই ছেলে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বামী-স্ত্রীকে মিলিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আহাম্মদ জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় ময়মনসিংহে চলে যান। এ সুযোগে বিকেলে বাবুল মেম্বার আহাম্মদের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ভিকটিমের ৯মাস বয়সের শিশু সামিউল কপালে আঘাত প্রাপ্ত হয়।

এ সুযোগে ভিকটিম ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে থেকে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। এ সময় আশ-পাশের লোকজন এসে ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। লোকজন এসে ঘরের জানালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ভিকটিমের মামা কালামের নেতৃত্বে ইউপি সদস্যকে বেধম মারপিট করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানার এস,আই আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে আটক অবস্থায় বাবুল মেম্বারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

ভিকটিম জানান, ঘটনার সময় আমার স্বামী বাড়িতে ছিল না। বাবুল মেম্বার আমার বসত ঘরে ঢুকে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টায় খাটের মাঝে শুয়ানোর চেষ্টা করে। তার সাথে দস্তাদস্তিতে আমার ছোট ছেলে কপালে আঘাত পেয়েছে। দস্তাদস্তির এক পর্যায়ে আমি ঘর থেকে বের হয়ে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেই। ভালুকা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক মাজাহারুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা মেম্বারকে আটক করে থানায় খবর দিলে আমি পুলিশ পাঠিয়ে মেম্বারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।

এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে একজনকে আসামী করে একটি মামলা করেছে। যার নং ২৩। বাবুল মেম্বার জানান, কয়েক দিন পূর্বে আমি আহাম্মদের স্ত্রীর পরকীয়ার সালিশ করি সেই সালিশের ঘটনায় জের হিসাবে এ ঘটনার সৃষ্টি করে। ঘটনার সময় আমি আহাম্মদের ভাই মোহাম্মদের বাড়িতে যাই, সেখান থেকে একটি বাচ্চাকে দিয়ে আহাম্মদের স্ত্রী আমাকে ডাকিয়ে নিয়ে ঘরে বসিয়ে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে এ ঘটনা সাজিয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টা বিষয়টি মিথ্যা।