প্রধান মেনু

ভাঙ্গায় কলেজ ছাত্রীকে হত্যার হুমকি

মাসুম আল ইসলাম, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যা ও বসত ঘর পোড়ানোর হুমকি দেওয়ায় মোস্তফা মাতুব্বরের (৩৮) বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে ওই ছাত্রীর মা মঞ্জুয়ারা বেগম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।অভিযোগের ভিত্তিতে জানাযায়, উপজেলার জাহানপুর গ্রামের আব্দুল আলী মাতুব্বরের ছেলে তৎকালীন সিঙ্গাপুর প্রবাসী মোস্তফা মুঠোফোনে পারিবারিকভাবে প্রায় আট বছর পূর্বে বিয়ে করে পার্শ্ববর্তী আদমপুর গ্রামের সরকারী কেএম কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে।

বিবাহের চার বছর পার হয়ে গেলে মোস্তফা দেশে ফিরে না আসায় ও কোন খোঁজ খবর না নেওয়ায় মেয়েটি মোস্তফার বাড়ীতে তালাক নামা পাঠায়।বিবাহ বিচ্ছেদের খবর পেয়ে কিছুদিন পর মোস্তফা দেশে ফিরে আসে। এরপর সে মেয়েটি ও তার পরিবারের কাছে বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ দাবী ও হুমকি দেয়। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়রী করে মেয়েটির মা। পরে স্থানীয়রা আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে মেয়েটির পরিবারের কাছ থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয়। কিছুদিন পর গত বছরের ১৯ জুলাই বিকালে মোস্তফা, সদর মাতুব্বর সহ আরো পাঁচ-ছয় জন পূনরায় অর্থ দাবী, হত্যার হুমকি দিলে আশপাশ থেকে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের রক্ষা করে।

এ সময় উপস্থিতদের সামনে আইনের আশ্রয় নিলে খুন করে লাশ গুম করবে জানিয়ে মোস্তফা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে চলে যায়। ভুক্তভোগী ছাত্রীটি বলেন, কোন খোঁজ খবর না নেওয়া, অন্যনারীর প্রতি আসক্তি ও মাদক সেবনের বিষয়ে জানতে পেরে ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ মোস্তফার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সে দেশে আসার পর থেকেই আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যা এবং বসতঘর পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিতে থাকে।আমি ও আমার পরিবার এখন নিরাপত্ত্বা হীনতায় রয়েছি।অভিযুক্ত মোস্তফা মাতুব্বর হুমকির বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে শালীশ হয়েছে।

তবে আমি কোন সম্পূর্ণ টাকা ও সমাধান পাইনি।ওই ঘটনার শালীশের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইমারত হোসেন, রফিক মাতুব্বর ও স্থানীয়রা বলেন, প্রবাশে থাকার সময় স্ত্রীর ভরণ- পোষণের জন্য বেশ কিছু টাকা দিয়েছে মোস্তফা। তাই আমরা শালীশের মাধ্যমে মোস্তফার পরিবারের কাছে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছি। তবে বিষয়টি এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ সমাধান না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ ও ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন তারা।মাদকাসক্ত হওয়ায় মোস্তফার আচরণ অসৌজন্য মূলক বলেও তারা মন্তব্য করেছেন।এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।