বড়পুকুরিয়া তাপ বিদুৎ কেন্দ্রের আন্দোলনরত শ্রমিকরা আজো চাকুরী পায়নি

আন্দোলনকারী শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, চাকুরীর আশায় দির্ঘদিন থেকে অপেক্ষায় থেকেও, চাকুরী না পেয়ে তার পরিবার এখন অচল হয়ে পড়েছে, বন্ধ হয়ে পড়েছে তার ছেলে মেয়ের লেখাপাড়া। একই কথা বলেন শাহাপুর গ্রামের মাজেদুল, তিনি বলেন চাকুরীর আশায় শুধু দিন কাটছে কিন্তু এখোনো চাকুরী হয়নি, এখন তাকে পরের বাড়ীতে দিন মজুরী করতে হচ্ছে। একই অবস্থা অনান্য শ্রমিকদের।
শ্রমিক আন্দোলন পরিচালনাকারী কমিটির সাধারন সম্পাদক বলেন শ্রমিকদের পরিবারের কথা বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রনালয়, চাকুরীতে নিয়োগের অনুমতি দিলেও, এখনো তারা চাকুরীতে যোগ দান করতে পারেনি। একই কথা বলেন আন্দোলন পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান, তিনি বলেন মন্ত্রনালয়ের অনুমতি ক্রমে গত ২০১৮ সালে, তাপ বিদুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ নিয়োগের সকল প্রস্তুতি গ্রহন করেিেছল, কিন্তু স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে সেই নিয়োগটি আজো দিতে পারছেনা কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট নির্মানের সময় তাদেরকে তৃতীয় পক্ষের অধিনে চাকুরী দেয় তাপ বিদুৎ কেন্দ্র। এরপর তৃতীয় ইউনিটের নির্মান কাজ শেষ হলে তাদেরকে তাপ বিদুৎ কেন্দ্রের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হারবীন ইন্টারন্যাশনার এর অধিনে উৎপাদন কাজে চাকুরী করার পরামর্শদেয় তাপ বিদুৎ কর্তৃপক্ষ, কিন্তু তারা তাপ বিদুৎ কেন্দ্রের অধিনে চাকুরী করার প্রস্তাব দেয়ায়, তাদেরকে বাদ দিয়ে বাহির থেকে শ্রমিক এনে উৎপাদন কাজ করার চেষ্টা করে তাপ বিদুৎ কতৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে গত ২০১৭ সাল থেকে তারা আন্দোলনে নামে।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায় স্থানীয় প্রশাসনের পরামর্শে তাদেরকে উৎপাদন কাজে নিয়োগ দেয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে মন্ত্রনালয়ে পত্রদেয় তাপ বিদুৎ কতৃপক্ষ। তাপ বিদুৎ কতৃপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে এবং আন্দোলনরত শ্রমিকদের মানবতার কথা বিবেচনায় নিয়ে বিদুৎ ও জ¦ালানী মন্ত্রনালয়, আন্দোলনরত শ্রামিকদের দৈনিক হাজিরায় চাকুরী দেয়ার অনুমতি দেন। কিন্তু স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে তাদেরকে আজো চাকুরীতে নিয়োগ দিতে পারছেনা তাপ বিদুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে তাপ বিদুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন আন্দোলনরত শ্রমিকদের দৈনিক হাজিরায় কাজে নেয়ার জন্য মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন আছে, কাজ শুরু হলে তাদের নেয়া হবে।