প্রধান মেনু

ব্রাসিলিয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত

ব্রাজিল (ব্রাসিলিয়া), ১৮ মার্চ : ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ১৬ মার্চ বিকাল পাঁচটায় এবং
১৭ মার্চ সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১-তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বাংলাদেশি শিশুরা বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতাতে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের শুরুতেই চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সামিয়া ইসরাত রনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশু কিশোরদের সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াতের পর বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ, ১৫ আগষ্টে নির্মম হত্যাকান্ডে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহিদ, মহান ভাষা আন্দোলনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী সকলের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অব্যাহত অগ্রযাত্রা কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত একাধিক আলেখ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তাগণ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দেবার জন্য বঙ্গবন্ধুকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করে স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর অবিস্মরণীয় অবদানের ওপর আলোকপাত করেন।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সামিয়া ইসরাত রনি তাঁর সমাপনী বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবন এবং আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনে তাঁর ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং অপরিমেয় অবদান গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে উল্লেখ করে ১৯৪৭ সাল থেকে আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের ঐতিহাসিক পটভূমি বিশ্লেষণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক। তাঁর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ আজ সমগ্র মানবজাতির সম্পদ। আজ জাতিসংঘের মাধ্যমে তাঁর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে সারাবিশ্বে। এসবই বাঙালি জাতির জন্য গর্বের বিষয়।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সমবেত শিশুদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।