প্রধান মেনু

বোয়ালমারীতে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

মোঃমাহফুজুর রহমান বিপ্লব, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রেমের ছলনায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে কথিত প্রেমিকসহ আরও চার বন্ধু। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বোয়ালমারী উপজেলা সংলগ্ন মধুমতী নদীর চরে। এ ব্যাপারে গত বুধবার নিজে বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলাদার্য়ে করেছে ওই কিশোরী। ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। পুলিশ এ মামলার কথিক প্রেমিকসহ মোট চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামি বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুরের সাত নম্বর আমলী আদালতে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ জবানবন্দি গ্রহণ করেন মূখ্য বিচারিক হাকিম ফারুক হোসাইন।
বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বোয়ালমারীর পাশে মাগুরা জেলার মোহম্মদ পুর উপজেলার বাবুখালী গ্রামের নাসির মোল্লার (২০) সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই কিশোরীর। গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে প্রেমিক নাসির দেখা করতে এসে কিশোরীটিকে মধুমতি নদীর তীরে লংকারচরে নিয়ে যায়। সেখানে প্রেমিক নাসিরসহ তার আরও চার বন্ধু বোয়ালমারীর ঘোষপুর ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামের তারক মন্ডল (১৯), সৈকত মন্ডল (১৮), নাসির (৩০) ও দশম শ্রেণির ছাত্র (১৬) পালাক্রমে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওযার্ড মাস্টার সাখাওয়াত মোস্তফা বলেন, ওই কিশোরীকে গত বুধবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করা হয়। শারীরিক পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠিয়ে স্থনান্তর করা হয়েছে। বোয়ালমারী থানার পুলিশ গত বুধবার দুপুরে বোয়ালমারীর ঘোষপুর ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে  তারক মন্ডল, সৈকত মন্ডল ও নাসিরকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওই কিশোরীর কথিত প্রেমিক  নাসির মোল্লাকে মাগুরা জেলার মোহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান বলেন, এ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত কথিত প্রেমিক নাসির মোল্লাসহ চারজনকে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাত নম্বর আমলী আদালতে মূখ্য বিচারিক হাকিম ফারুক হোসাইন এর কাছে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদের আদালতের নির্দেশে সন্ধ্যায় জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত এবং মামলার অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালনো হচ্ছে।