প্রধান মেনু

বৈডাঙ্গা ক্লিনিকে অপারেশনের পর স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু

শামীমুল ইসলাম শামীম,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি,৩০আগষ্ট ২০২০ঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের বৈডাঙ্গা প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল অপারেশনে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ক্লিনিক মালিক বাদীকে ম্যানেজ করে ফেলেছে। গত দুই মাস আগে ক্লিনিকটিতে সুর্বনা খাতুনের (১৩) এপেনডিক্স অপারেশন করেন রানা ও ফারুক আহম্মেদ।

অপারেশনের পর ২৫দিন যাবৎ সুবর্না ঐ ক্লিনিকেই চিকিৎসা নেয়। তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা আগারগাও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ নিউরোলজি বিভাগে রেফার্ড করা হয়। সেখানে ৩৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। সুবর্না সদর উপজেলার বাজার বৈডাঙ্গা এলাকার সৌদি প্রবাসী সুমন মন্ডলের মেয়ে ও বৈডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বৈডাঙ্গা প্রাইভেট হাসপাতালে প্রতিনিয়তই এমন ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি কোলা গ্রামের এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের পর থেকে তিনি গুরুত্বর অসুস্থ রয়েছে। গত বুধবার সাগান্না ইউনিয়নের বকশিপুর গ্রামের এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। ঐ ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের আরেক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনে মৃতু হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আরো অভিযোগ উঠেছে ক্লিনিকটিতে সার্জিক্যাল ও এনেস্থেসিয়া ডাক্তার ছাড়াই মালিকরা ডাক্তার সেজে এবং আয়ারা নার্স সেজে অপারেশন করে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে বৈডাঙ্গা প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক জহুরুল বিশ্বাস, ডাক্তার ফারুক আহমেদ ও রানার সাথে কথা বলার চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায়নি।ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন কোন অর্দশ্য ক্ষমতা বলে ডাক্তার নার্স না থাকলেও এ জেলার ক্লিনিকগুলো চালাতে সহযোগিতা করে এই নিয়ে ঝিনাইদহাবাসীর মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বৈডাঙ্গা ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন নেই।

ক্লিনিকে সর্বক্ষন কোন চিকিৎসক বা প্রশিক্ষিত র্নাস নেই। তারপরও ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন দপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় অর্থের বিনিময়ে এদের নতুন লাইসেন্স ও পুরানো লাইসেন্স নবায়ন করে থাকে। জানা গেছে,সিভিল সার্জন অফিসের নওশের আলী, নজরুল ইসলাম, ইসরাইল হোসেন ও নজরুল ইসলাম (২) ক্লিনিকের এই ফাইলগুলো দেখভাল করেন। তারাই মিথ্যা তথ্য দিয়ে বছরের পর বছর মানহীন এ সব ক্লিনিক বহাল রাখার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উল্লেখ্য দুই সপ্তাহ আগে মহেশপুরের নেপার মোড় ও হরিণাকুন্ডুর ক্লিনিকে ৪ প্রসুতির মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত হতে না হতে আবারো বৈডাঙ্গা ক্লিনিকে অপচিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো।