বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় দেশের মানুষ খুশি —স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ জ্যৈষ্ঠ (১৩ জুন): স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করায় দেশের মানুষ খুশি হয়েছে, এজন্য এই বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা আগের ৫১টি হাসপাতাল থেকে বাড়িয়ে আরো নতুন ১৩২টি হাসপাতালসহ মোট ১৮৩টি হাসপাতালে চালু করা হলো। তিনি বলেন, নতুন ১৩২টির মধ্যে রাজধানী ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল, হৃদরোগ হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) এই ৪টি বড় হাসপাতাল যুক্ত হওয়ায় দেশের মানুষ এখন থেকে আরো অনেক বেশি সেবা পাবে।
আজ মন্ত্রী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নতুন করে দেশের ১৩২টি সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে অবহিতকরণ সভায় এসব কথা বলেন।
বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকার বাইরে ৫১টি হাসপাতাল থেকে ৭৪৬৩ জন সাধারণ রোগী বিভিন্ন রোগের সেবা নিয়েছে। এর মধ্যে ৩২টি হাসপাতালে ৪৫৪টি অপারেশন এবং এর বাইরে ২৫৯৭টি ইনভেস্টিগেশন করা হয়েছে বলে ব্রিফিংকালে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এসব সেবা থেকে সরকারি কোষাগারে ৫১ লাখ টাকা জমা হয়েছে যা থেকে চিকিৎসকদের ফি বণ্টন করে দেয়া হবে। ব্রিফিংকালে ঢাকার ৪টি হাসপাতালের পরিচালক ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোর প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সমাজকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বগণ জুমে অংশ নিয়ে কথা বলেন।
কুমিল্লার চান্দিনা হাসপাতাল থেকে জুমে অংশ নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা দেবার সিদ্ধান্ত যে কতটা ভালো হয়েছে তা আমরা স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে বুঝতে পারছি। এই সিদ্ধান্ত নেবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালগুলো প্রতিনিধিদের কথা শোনেন, প্রস্তুতি নিয়ে পরামর্শ দেন এবং বৈকালিক সেবা দিতে কোনোরকম অনিয়ম যাতে না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক করেন।
ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পাওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত জানুয়ারি থেকে ৩৩৯০ জন রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং ২৬ জন মারা গেছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ব্রিফিংকাল স্বাস্থ্য সেবা সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।