বেগম রোকেয়া দিবস উদ্ধসঢ়;যাপন এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০১৭ প্রদান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেগম রোকেয়া দিবস উদ্ধসঢ়;যাপন এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০১৭ প্রদান উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন : ‘‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস উদ্ধসঢ়;যাপন এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০১৭ প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন-এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বেগম রোকেয়া ছিলেন নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণের অগ্রদূত।
বিশ শতকের প্রথম দিকে বাঙালি মুসলমানদের নবগাগরণের সূচনালগ্নে নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণে তিনিই প্রধান নেতৃত্ব দেন। সাহিত্যচর্চা, সংগঠন পরিচালনা ও শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া সমাজ সংস্কারে এগিয়ে আসেন এবং স্থাপন করেন উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত। বেগম রোকেয়ার আদর্শ, সাহস, কর্মময় জীবন নারী সমাজের এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করেন।
নারী সমাজের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালে সর্বপ্রথম জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা করেন। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর আমরা দেশে নারী শিক্ষার প্রসার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করছি। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি আরও যুগোপযোগী করে আমরা নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করছি। বাল্যবিবাহ সমাজ থেকে নির্মূলের জন্য ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে। নারীর দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা, শ্রমবাজারে ব্যাপক অংশগ্রহণ ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে এবং নারীর প্রতি সামাজিক অপরাধ রোধে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
বর্তমান সরকার নারী শিক্ষার প্রসারে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করেছে। উপবৃত্তি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শিক্ষার্থী ঝরেপড়া রোধ এবং জেন্ডার সমতায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে। নারী উন্নয়নের স¦ীকৃতি হিসেবে আমরা জাতিসংঘের ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম প্রদত্ত ‘এজেন্ট অভ্ধসঢ়; চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছি। নারী ও কন্যাশিশুর সাক্ষরতা ও শিক্ষা প্রসারে সাফল্যেরস¦ীকৃতিস¦রূপ ইউনেস্কো আমাকে ‘শান্তিবৃক্ষ’ স্মারক পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ফলে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোলমডেল। উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়ক ধরে আমরা এগিয়ে চলেছি রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশের নারীসমাজ জাতির পিতার স¦প্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখবেন। আমি বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচি এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০১৭ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’