প্রধান মেনু

বেগম জিয়ার বাড়িতে গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ পুরো বিএনপি’র জন্য লজ্জার -তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দু’বার প্রধানমন্ত্রী ও দু’বার প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্বপালন করা বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়িতে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের অবৌধ সংযোগ শুধু বেগম জিয়ার জন্যই অত্যন্ত লজ্জার নয়, এ লজ্জা পুরো বিএনপির।’ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় জাতীয় গণসঙ্গীত উৎসব উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।  ‘বেগম জিয়া এ লজ্জা কোথায় রাখবেন?’ প্রশ্ন রেখে  তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি’র মতো দল, যারা ক্ষমতায়ও যেতে চায়, সেই দলের নেত্রীর বাড়িতে এসব অবৈধ সংযোগ নিয়ে তারা কি জবাব দেবেন!’
ড. হাছান বলেন, ‘জিয়ার হাতে অবৈধভাবে জন্ম নেয়া বিএনপির বর্তমান নেত্রীকে কোনো মূল্য ছাড়াই একশ’এক টাকার বিনিময়ে দেড় বিঘা জমির ওপর গুলশানের সবচেয়ে বড় প্লটের এই বাড়িটি দেয়া হয়। সেখানে তারা অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে, সেখানকার বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সব সংযোগ অবৈধ। অর্থাৎ বিএনপি’র সবকিছুই যে অবৈধভাবে পরিচালিত হয়, তা এর মাধ্যমে আবার প্রমাণিত হলো।’ এবিষয়ে রাজউকের কি করণীয় তা সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানেই অবৈধ সংযোগ আছে, যার বাড়িতেই হোক, তা বিচ্ছিন্ন করা প্রয়োজন এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
এসময় বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিদেশিদের কাছে বিএনপি’র অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি’র বড় বড় নেতাদের বক্তব্য শুনে মনে হয়, তারা ডাক্তারদের চেয়েও বেশি বোঝে। তারা যে এনিয়ে বারবার বিদেশিদের কাছে ধর্ণা নিচ্ছে, বিদেশিরা এসে কি বেগম জিয়ার চিকিৎসা করে দিয়ে যাবেন! তা তো নয়। বরং বঙ্গবন্ধু মেডিকেল সূত্র বলছে, সেখানে চিকিৎসা নিয়ে বেগম জিয়া সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ও আগের চেয়ে ভালো অনুভব করছেন।’ ‘আমি বিএনপি নেতাদের বলবো, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য আর চিকিৎসা নিয়ে আর রাজনীতি পরিহার করতে’, যোগ করেন ড. হাছান।
এসময় বেগম জিয়াকে মুক্ত করার জন্য বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক বন্দী নন, তিনি দুর্নীতির দায়ে আদালতের বিচারে সাজাপ্রাপ্ত।  আইন ও আদালত ব্যাতিরেকে তার মুক্তির কোনো সুযোগ নেই।’ ‘আর বিভিন্ন সময়ে যেমন ঈদের আগে, কোরবানির পরে, বার্ষিক পরীক্ষার পরে, শীতের পরে, গ্রীষ্মের পরে, বর্ষা গেলে পরে – তাদের (বিএনপির) এই আন্দোলনের ঘোষণা মানুষের কাছে হাস্যস্পদ হয়ে উঠেছে’, বলেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক।