প্রধান মেনু

বুড়িমারী স্থল বন্দরে আমদানিতে অচলাবস্থা

হাতীবান্ধা/পাটগ্রাম(লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃ পাথর আমদানিতে এসেসমেন্ট ভ্যালু ভ্যাট বৃদ্ধির প্রতিবাদে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ করে
দিয়েছে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা। এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা বন্দর হতে প্রতিদিন ৪/৫ শতাধিক পাথরবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে থাকে।এসেসমেন্ট ভ্যালু ভ্যাট ২ ডলার বৃদ্ধির প্রতিবাদে পাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীরা। ভ্যাট বাড়ার কারনে ওই স্থলবন্দরে যে অচলাবস্থা বিরাজ করছে এর প্রভাব পড়েছে পাথর শ্রমিক ও ট্রাক চালকদের মাঝে।

ট্রাক চালক ওমর আলী বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। ট্রাক চালিয়ে যে আয় আসে সে দিয়েই চলে সংসার।ট্রাক দিয়ে পাথর পরিবহন বন্ধ থাকায় আমরা কর্মহীন হয়ে অলস সময় পার করছি। অপর চালক সানোয়ার হোসেন বলেন, ভ্যাট বৃদ্ধি করাকে কেন্দ্র করে ওই স্থলবন্দরে যে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে তা দ্রুত সময়ে নিরসন হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে আমরা বেকার হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপদে পড়বো।

বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ছফর উদ্দিন বলেন, সৃষ্ট সমস্যার কারনে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ হওয়ায় ট্রাক লোড- আপলোডে কর্মরত ১৩ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। বুড়িমারী সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বুড়িমারী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সম্পাদক রেজাউল করিম রেজোয়ান বলেন,বুড়িমারী স্থলবন্দর কতৃপক্ষ মৌখিকভাবে এসেসমেন্ট ভ্যালু ভ্যাট ১০ ডলারের পরিবর্তে ১২ ডলার ঘোষনা করায় লোকসানের মুখে পড়ে পাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছি।তিনি আরো বলেন আগামী বৃহঃস্পতিবার সকালে বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভুটানের ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা সভা এবং বিকালে রংপুরে কমিশনারের সাথে আলোচনায় বসার কথা আছে।

যদি সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকরী কোন ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে এসোসিয়েশনের সভা করে আমাদের করণীয় ঠিক করা হবে। বুুড়িমারী স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার বালা বলেন, রাজস্ব সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ন খাত। এ খাতকে শক্তিশালী করতে দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ভারত থেকে আমদানীকৃত রিভার স্টন পাথর টনপ্রতি ১২ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। যার পূর্বে নির্ধারণ ছিল ১০ ডলার। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী এ নিয়ম না মেনে পাথর আমদানী বন্ধ করে দিলেও স্থলবন্দরের কার্যক্রমে কোন প্রভাব পড়েনি। এ এসেসমেন্ট ভ্যাটের কারনে স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।