প্রধান মেনু

বীমা মেলা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ জানুয়ারি বীমা মেলা-২০১৯ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন: “বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে খুলনা জেলায় ৪র্থ ‘বীমা মেলা-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি মেলার আয়োজক-গ্রাহকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের জীবনমানের উন্নয়নে সকল সম্পদের উন্নত ব্যবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের জীবনের এবং সম্পদের ব্যবস্থাপনায় আর্থিক সুরক্ষার মাধ্যম হিসেবে বীমা শিল্প একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত। এ লক্ষ্যে বীমা শিল্পের গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা ২০১০ সালে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন ও বীমা আইন-২০১০ প্রণয়ন এবং ২০১৪ সালে জাতীয় বীমা নীতি প্রণয়ন করি।

বীমার চাহিদা প্রসার এবং বীমা শিল্পের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধির জন্য আমরা অটোমেশন পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে সনাতনী বীমা থেকে আধুনিক ডিজিটাল বীমা ব্যবস্থা চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা জনসাধারণের জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যবীমা, সার্বজনীন পেনশন, কৃষি বীমা এবং শিক্ষা বীমা প্রচলনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে প্রবাসী কর্মীদের সুরক্ষার জন্য প্রবাসী বীমা প্রচলন করেছি। বার্ধক্যকালীন ঝুঁকি, অক্ষমতা, অটিস্টিক শিশুর সুরক্ষা, বেকারত্ব এবং মাতৃত্বকালীন ঝুঁকির ক্ষেত্রে সুরক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলের আওতায় বীমাকে একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা হচ্ছে।

আগামী দশকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে গড়ে ওঠা শিল্পসমূহের সুরক্ষা, বৃহৎ অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের সুরক্ষায় বীমা শিল্প বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। বীমার উপকার ও সুবিধা সম্পর্কে দেশবাসীকে স্বচ্ছ ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে বীমা মেলা একটি আকর্ষণীয় মাধ্যম হতে পারে। উন্নত বিশ্বের মতো সর্বক্ষেত্রে বীমা শিল্পের ব্যবহার নিশ্চিত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমি ‘বীমা মেলা-২০১৯’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”