বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ২৩ চৈত্র (৬ এপ্রিল) :রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২১’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘Building a fairer, healthier world’ যার বাংলা ভাবার্থ ‘সকলের জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ি’ তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
জনগণের সচেতনতা, সম্পৃক্ততা ও অংশীদারিত্ব বাড়ানোর মাধ্যমে একটি সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ে তোলাই এ বছরের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের মূল উদ্দেশ্য। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
স্বাস্থ্য অবকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও নিয়োগ, অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংগ্রহ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দেশের চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে, কমেছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার। বাংলাদেশ সাফল্যের সাথে স্বাস্থ্যখাতের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে।
২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যসেবার সকল স্তরে এসব সেবাকে জনগণের জন্য আরো সহজলভ্য ও গ্রহণযোগ্য করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যেতে হবে।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে সকলের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার নানামুখী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। করোনার চিকিৎসা সেবা নির্বিঘ্নে রাখতে বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন প্রদানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণজনিত চিকিৎসা সেবাকে জনগণের জন্য আরো সহজলভ্য করতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে। একই সাথে সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্কসহ প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করা খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকুক – বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে এ প্রত্যাশা করি।আমি ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি। জয় বাংলা। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”