প্রধান মেনু

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর): রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২০’ উদ্‌যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি মানসিক রোগের প্রকোপ অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট বেকারত্ব, ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার পাশাপাশি ব্যবসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় বিশ্বব্যাপী জনগণের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। একই সাথে মাদকাসক্তি, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, নগরায়নসহ পারিবারিক ও সামাজিক নানা অস্থিরতা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এ বছর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘Mental Health for All: Greater Investment-Greater Access’ অর্থাৎ ‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্যঃ অধিক বিনিয়োগ-অবাধ সুযোগ’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

অন্যান্য রোগের ন্যায় মানসিক রোগেরও আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক রোগীকে পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন প্রদান খুবই জরুরি। একই সাথে ঝাড়ফুক বা অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা পদ্ধতি পরিহারে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। জনগণের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ও একটি স্বাস্থ্যবান জাতি গঠনে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত থাকবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২০’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি।  জয় বাংলা। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথভাবে ১০ অক্টোবর ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস-২০২০’ উদ্‌যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য Mental Health for All: Greater Investment-Greater Access অর্থাৎ ‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য : অধিক বিনিয়োগ – অবাধ সুযোগ’ যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন উন্নত জীবন ও সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জন্য অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে আমাদের সরকার ২০০১ সালে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে, যা ছিল মানসিক স্বাস্থ্য সেবার অগ্রগতিতে একটি মাইলফলক। দেশে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্র প্রসারিত করাসহ এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সারাদেশে স্থাপন করা হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এসব সেবাকেন্দ্র থেকে দরিদ্র মানুষ বিনামূল্যে ৩০ পদের ঔষধ পাচ্ছেন। আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সেবাসহ সকল ধরনের স্বাস্থ্যসেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে এবং আপামর জনগোষ্ঠীর মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। মানসিক স্বাস্থ্যসেবার অবারিত সুযোগ সৃষ্টিতে আরো মনোযোগী হতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস-২০২০’ – এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।    জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”