প্রধান মেনু

বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা সম্মিলিতভাবে ২২ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০১৯’ (World Car Free Day) উদ্‌যাপন করছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘Safe Walking and Cycling, অত্যন্ত সময় উপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নের ফলে ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকানার সূচক ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকানা অর্জনের এ প্রবণতা নগরের পরিবহন ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি করছে।

পরিবহন ব্যবস্থার পরিকল্পনায় সামাজিক সাম্য, আর্থসামাজিক অবস্থা, পরিবেশ ইত্যাদি সঠিকভাবে বিবেচনা না করা হলে ত্রুটিপূর্ণ পরিবহন ব্যবস্থা তৈরি হয়। ফলে শহরে যানজট ও দূষণের মাত্রা বাড়ার পাশাপাশি মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হয় এবং জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি পায়। বিশ্বের বড় শহরগুলোতে যানজট এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের পরিবর্তে গণপরিবহন, মেট্রোরেল, বিআরটি, বাইসাইকেল এমনকি নিকটবর্তী স্থানে যেতে পায়ে হাঁটাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ঢাকা শহরে যানজট নিরসন, বায়ু ও শব্দ দূষণ হ্রাসকল্পে বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে মেট্রোরেল, বিআরটি, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, ইউলুপসহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যানজট নিরসনের পাশাপাশি ঢাকার পরিবেশকে নির্মল, স্বাস্থ্যকর ও উন্নত করতে এসব প্রকল্প সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা রাখি।

রাজধানী ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে আধুনিক নগর পরিকল্পনার ধারণাকে সমুন্নত রেখে ব্যক্তিগত গাড়ির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর পাশাপাশি ট্রাফিক আইন মেনে চলা এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। যান্ত্রিক বাহনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে পথচারীদের জন্য প্রশস্ত ফুটপাত ও সাইকেল আরোহীদের জন্য পৃথক ও স্বাচ্ছন্দ্যময় চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উদযাপন দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে – এ প্রত্যাশা করি। ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস – ২০১৯’ উদযাপন সফল হোক – এ কামনা করি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”