প্রধান মেনু

বিশ্ব বসতি দিবসে পূর্ত সচিব নকশা অনুমোদন ব্যতিত যত্রতত্র বহুতল ভবন নির্মাণের ‍সুযোগ নেই

ঢাকা, ১৭ আশ্বিন (২ অক্টোবর) : নগর অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি, কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে পালিত হলো বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৩।

আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ উপলক্ষ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনাসভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. খুরশিদ জাবিন হোসেন তৌফিক। মূল প্রবন্ধে তিনি দেশের জিডিপিতে বিভিন্ন খাত ও অঞ্চলের অবদান তুলে ধরেন। এছাড়া আরবান রেডিনেস গাইডলাইন সম্পর্কে তিনি তার আলোচনায় বিশদ ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। দেশের অর্থনীতির স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি, টেকসই নগরায়ন ও এক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে তিনি তার আলোচনায় আলোকপাত করেন।

আলোচনাসভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন দেশের কৃষিজমি রক্ষা ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করে পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এক্ষেত্রে তিনি ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুসরণ, ভবনের নকশা অনুমোদন ও নির্মাণকাজে প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধিমালা অনুসরণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যেসকল শহরে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রয়েছে সেখানে সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য স্থানে বিসি কমিটির নিকট হতে ভবনের নকশা অনুমোদনের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দেশের কোনো স্থানেই নকশা অনুমোদন ব্যতিরেকে যত্রতত্র ইচ্ছামত বহুতল ভবন নির্মাণের সুযোগ নেই।  শহরের জীবনযাত্রা সহনীয় ও বাসযোগ্য রাখার জন্য পরিকল্পিত উন্নয়ন, প্রত্যেক জেলায় উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যোগাযোগ অবকাঠামো, ডিজিটাল অবকাঠামো, আবাসন এবং  আয়বর্ধক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সাল থেকে প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব বসতি দিবস উদ্‌যাপন করা হয়। বাংলাদেশেও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ দিবসটি পালিত হয়। ‘স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমূহই চালিকাশক্তি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এবছর বিশ্ব বসতি দিবস পালিত হয়েছে। রাজধানীর বাইরে অবস্থিত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থাও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সাড়ম্বরে দিবসটি উদ্‌যাপন করেছে। নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি বৈশ্বিক মহামারি ও সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি ও জনপদকে উদ্ধারের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করাই এবছর বিশ্ব বসতি দিবসের লক্ষ্য।