প্রধান মেনু

বিশ্ব পর্যটন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১১ আশ্বিন (২৬ সেপ্টেম্বর) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ঘোষিত ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০১৯’ বাংলাদেশে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। বিশ্ব পর্যটন দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য Tourism and Jobs: A better future for all অর্থাৎ ‘ভবিষ্যতের উন্নয়নে, কাজের সুযোগ পর্যটনে’ যা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শ্রমঘন শিল্প হিসেবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অবদানেরই বহিঃপ্রকাশ বলে আমি মনে করি।

প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক অর্থনীতিতে টিকে থাকার ক্ষেত্রে পর্যটন শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ শিল্পকে অর্থনীতির চালিকাশক্তিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সেবাখাতসমূহে দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে বর্তমান সরকার পর্যটনখাতে দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধি এবং পর্যটন আকর্ষণীয় স্থানসমূহে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

বহুমুখী পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন স্তরে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় উল্লিখিত সকলের জন্য পূর্ণাঙ্গ ও উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান এবং শোভন কর্মসুযোগ সৃষ্টি এবং স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের সমন্বিত ও সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পর্যটন আকর্ষণীয় এলাকাসমূহে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে পর্যটকদের জন্য সুবিধাদি বৃদ্ধি এবং এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সচেতন করার ক্ষেত্রে কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।

পর্যটন শিল্পে অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সংশ্লিষ্ট সেবাখাতসমূহে দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখার মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব। এ  ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি আমি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানাই। আমি বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০১৯-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”