বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবসে প্রধানমন্ত্রীর ও রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৮ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২১’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
এবারের প্রতিপাদ্য ‘RABIES: FACTS, NOT FEAR’ অর্থাৎ ‘জলাতঙ্ক : ভয় নয়, সচেতনতায় জয়’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ MDG (Millennium Development Goal) অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় SDG (Sustainable Development Goal 3.3) এবং জলাতঙ্ক বিষয়ক Global Strategy তে ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্ক মুক্ত বিশ্ব গড়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
জনসচেতনতা বৃদ্ধি, চিকিৎসা ও টিকা প্রদান, ব্যাপকহারে কুকুরের টিকাদান (এমডিভি), কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জলাতঙ্কের ঝুঁকি থেকে মুক্ত করতে পারি। এক্ষেত্রে সরকারি কার্যক্রমের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা সমূহের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
আমি ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
ঢাকা, ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ২৮ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২১’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণ করলে এ রোগে শতভাগ নিরাময় করা সম্ভব। এ প্রেক্ষাপটে এ বছরের বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবসের প্রতিপাদ্য ‘RABIES: FACTS, NOT FEAR’ অর্থাৎ ‘জলাতঙ্কঃ ভয় নয়, সচেতনতায় জয়’ সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে মনে করি।
জলাতঙ্ক একটি প্রাণিবাহিত রোগ। এ রোগে আক্রান্ত পশু বিশেষ করে শেয়াল, কুকুর, বাদুড় ইত্যাদির কামড়ে মানুষের মাঝে জলাতঙ্ক সংক্রমিত হয়। যথাসময়ে চিকিৎসা দেওয়া না হলে জলাতঙ্ক প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই জলাতঙ্ক প্রতিরোধে জনসচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। একই সাথে পোষা ও বেওয়ারিশ কুকুর-বেড়ালকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দেয়া আবশ্যক বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশের সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে জলাতঙ্কের হার পূর্বের তুলনায় শতকরা ৬৮ ভাগ কমে এসেছে। তবে ভৌগলিক অবস্থান, অসচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এদেশে জলাতঙ্কের ঝুঁকি এখনও বিদ্যমান। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে সরকারি কার্যক্রমের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি। সকলের সম্মিলিত প্রয়াস জলাতঙ্ক নির্মূলে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি ‘বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। জয় বাংলা।খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”