প্রধান মেনু

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। জনসংখ্যা উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান নিয়ামক। এ জনসংখ্যাকে কাম্য জনসংখ্যায় পরিণত করতে পরিকল্পিত পরিবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর পূর্তিতে এর অর্জন মূল্যায়নের লক্ষ্যে এ বছর বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘25 years of the ICPD: Accelerating the promise’ ‘জনসংখ্যা ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর : প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়ন’। আমাদের দেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এবারের প্রতিপাদ্য অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৯৪ সালে বিশ্বের নিম্ন অগ্রগতিসম্পন্ন দেশগুলোতে মোট প্রজনন হার ছিল ৬, এখন তা ৪।

আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারের হার ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোট প্রজনন হার ২.০৫ এবং পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ৬২.৪। একটি দেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পর্কিত। পরিকল্পিত জনসংখ্যা, খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার পূরণের পাশাপাশি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের আয়তন, অবস্থান, জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পরিকল্পিত পরিবার গঠনের বিকল্প নেই। সরকার বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

বিদ্যমান কর্মসূচিগুলোতে উদ্ভাবনীমূলক কর্মকাণ্ডের সন্নিবেশ ঘটাতে হবে। তাহলে দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে জনগণের ক্ষমতায়ন হবে এবং ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছে যাবে। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরও সক্রিয় ও আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে জনমিতিক লভ্যাংশের (Demographic Dividend) সুযোগ বিদ্যমান। আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। সঠিক উন্নয়ন কৌশল, কর্ম-পরিকল্পনার মাধ্যমে এই বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে পারলে জনমিতিক এই সুযোগ আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। পরিবার পরিকল্পনা সেবাসহ অন্যান্য প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাই।  খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।