প্রধান মেনু

বিশ্ব খাদ্য দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ৩০ আশ্বিন (১৫ অক্টোবর) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্য দেশের মতো বাংলাদেশে ১৬ অক্টোবর ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ পালন করা হবে জেনে আমি আনন্দিত।এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সবাইকে নিয়ে একসাথে বিকশিত হোন, শরীরের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন। আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ’- কোভিড-১৯ জনিত পরিবর্তিত বিশ্ববাস্তবতায় যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সাড়ে ১১ বছরে কৃষি উন্নয়নে কৃষিবান্ধব নীতি ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে; যেগুলোর মাঝে কয়েক দফায় সার, বীজসহ বিভিন্ন কষি উপকরণের মূল্যহ্রাস, কৃষকদের জন্য ঋণ ও প্রণোদনা সুবিধা সম্প্রসারণ, দশ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, কৃষি গবেষণায় অধিক বিনিয়োগের মাধ্যমে নিত্যনতুন জাত প্রযুক্তির উদ্ভাবন, কৃষি বিপণন ব্যবস্থা আধুনিকায়ন, কৃষিযন্ত্রকে সুলভ ও সম্প্রসারিত করা, বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা প্রদান অন্যতম।

ফলে বাংলাদেশের কৃষিতে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জিত হয়েছে। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি টেকসই কৃষি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়েছে। বৃহত্তর কৃষির আঙিনায় মাঠ ফসল, ফলমূল, শাকসবজির পাশাপাশি প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ। আমাদের সরকার এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমাদের সরকার এ সংকটের শুরু থেকেই সর্বাত্মক প্রস্তুতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করে। ফলে এই বৈশ্বিক মহামারিতেও আমরা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি।

কৃষিতে সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে আমরা করোনা পরিস্থিতিতেও ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, বন্যা প্রভৃতি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দক্ষভাবে মোকাবিলা করে কৃষি উৎপাদনের সফল ধারা অক্ষুন্ন রাখতে পেরেছি। আমাদের কোন খাদ্য সংকট হয়নি, কারণ-পর্যাপ্ত মজুদের ব্যবস্থা আমরা রেখেছি। দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শিল্প স্থাপনে যাতে কৃষি জমি নষ্ট না হয়, সে নির্দেশনাও প্রদান করা হয়েছে।

আমরা গত সাড়ে ১১ বছরে দেশের আর্থসামাজিক খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। দেশের ৯৭.৫ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। আমরা দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিচ্ছি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের প্রচেষ্টায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো জোরদার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই।আমি বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২০ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”