প্রধান মেনু

বিশ্ব খাদ্য দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে নিন্মোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৬ অক্টোবর ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস- ২০১৮’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কর্ম গড়ে ভবিষ্যৎ, কর্মই গড়বে ২০৩০-এ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই কৃষিখাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি কৃষকভাইদের জন্য ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকদের খাজনা মওকুফ করে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষের গুরুত্ব অনুধাবন করে দেশকে আবারও সবুজের সমারোহে পরিপূর্ণ করে তুলতে বৃৃক্ষরোপণ অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। কৃষির সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে আমরা কৃষিবান্ধব নীতি ও সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা সার, বীজসহ সকল কৃষি উপকরণের মূল্যহ্রাস করেছি। কৃষকদের সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণসুবিধা এবং বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে।

আমরা কৃষি গবেষণায় অধিক বরাদ্দ নিশ্চিত করে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি। কৃষিকাজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে ই-কৃষির সম্প্রসারণ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের সরকার ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছে। কৃষি ভর্তুকির টাকা ঐ একাউন্টে সরাসরি প্রেরণ করা হচ্ছে। কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে কৃষিক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ধান, পাট, আলু, সবজি, ফলসহ মাছ, মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ বিশ্ব স্বীকৃত। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সেলক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৮’ এর সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”