প্রধান মেনু

বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস – ২০১৮ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:

“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব এইডস দিবস – ২০১৮’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এইডস একটি মরণব্যাধি। বাংলাদেশে অদ্যাবধি সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ হার তুলনামূলক কম হলেও ভৌগোলিক অবস্থান, অসচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এইডসের ঝুঁকি এখনো বিদ্যমান। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক। এইডস নিয়ে মানুষের মাঝে এক ধরনের ভীতি ও লোকলজ্জা কাজ করে, যে কারণে এখনও বহুমানুষ তাদের নিজেদের অবস্থা তথা এইচআইভি সংক্রমণের তথ্য জানায় না। বাংলাদেশেও সম্ভাব্য এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যককে এখনো চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এ বছর বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘এইচআইভি পরীক্ষা করুন; নিজেকে জানুন (কহড়ি ণড়ঁৎ ঝঃধঃঁং)’ এ প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক হয়েছে বলে আমি মনে করি। বর্তমানে এইডসের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও মরণঘাতি এ রোগের কোনো প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি। এইডসের প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং আমৃত্যু এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। তাই এইডস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সহজলভ্য এবং মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। সরকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে এইডস আক্রান্তদের বিনামূল্যে ঔষধ ও সামাজিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। বর্তমান এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশব্যাপী ২৩টি জেলায় এইচআইভি পরীক্ষা ও চিকিৎসা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আমি এইডস প্রতিরোধ ও নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি ‘বিশ্ব এইডস দিবস – ২০১৮’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”