মোঃ শাহজালাল দেওয়ান : বৃহস্পতিবার বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার ফলোআপ সভায় সার্বিক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম অবহিতকরণ ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, স্থানীয় এমপি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো: আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।

এছাড়াও সভায় বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বের পাঁচজন করে দশজন শীর্ষ মুরুব্বিসহ বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, তাবলীগ জামাতে দ্বিধাবিভক্তি ও মতপার্থক্য থাকা সও্বেও বাংলাদেশে যেকোন পরিস্থিতিতে বিশ্ব ইজতেমা হবে। ১০ জানুয়ারী থেকে ইজতেমায় লাখো মুসল্লির ঢল নামবে। এই ঢল সামাল দেয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব প্রস্ততি নেয়া আছে। মন্ত্রী এসময় তাবলীগ জামাতের কল্যাণে নিবিড়ভাবে সময় দেয়ায়, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এবং ইজতেমা ময়দান ভরাট ও সমতলকরণসহ ইজতেমার যাবতীয় প্রস্ততি সম্পন্ন করায় গাজীপুর সিটি মেয়র অ্যাডভোকেট মো: জাহাঙ্গীর আলমকে ধন্যবাদ জানান।

মন্ত্রী আরো বলেন, সমস্থ অসুবিধা মোকাবেলা করেই ইজতেমা হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা ইজতেমার সব ব্যবস্থা করে দেবেন। এ বছর বিশ্ব ইজতেমা আরো সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে। নিয়মনীতির ভেতর থেকেই ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ইজতেমার পর বিদেশী মেহমানরা সুন্দরভাবে চিল্লায় যেতে পারবেন। সভায় সা’দপন্থী মাওলানা মুহিবুল্লাহ অপপ্রচার ও উস্কানীমূলক কর্মকান্ড মোকাবেলায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় তিনি সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে না গিয়ে সহমর্মিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করার জন্য প্রতিপক্ষের প্রতি আহবান জানান। সভায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ইজতেমায় তাদের প্রস্ততির অগ্রগতি তুলে ধরেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: আনোয়ার হোসেন সভায় জানান, র‌্যাবের পৃথক ব্যবস্থা ছাড়াও ইজতেমায় আইনশৃংখলা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আট হাজার পুলিশ তিন সেক্টরে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করবে। পুলিশের ১৪টি ও র‌্যাবের ১০টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। সেই সাথে পুরো ময়দান ও আশপাশ এলাকা সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ ছাড়াও ডগ স্কোয়াড, বোমা ডিসপোজাল, এন্ট্রিটেরোরিজম ইউনিটসহ একাধিক স্পেশাল টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তত থাকবে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ছাড়াও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, গাজীপুর ও ঢাকা জেলা পুলিশ বিশ্ব ইজতেমায় স্ব স্ব এলাকার দায়িত্ব পালন করবে।

১০ জানুয়ারী থেকে ইজতেমায় লাখো মুসল্লির ঢল নামবে ১২ জানুয়ারি মাওলানা জুবায়ের পন্থীদের বিশ্ব ইজতেমা সমাপ্তের পর ১৩ জানুয়ারি ইজতেমা ময়দানের দায়িত্ব পশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে মাওলানা সা’দ পন্থীদের বিশ্ব ইজতেমা।