বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের বয়ান চলছে আগামীকাল আখেরি মোনাজাত
মোঃ শাহজালাল দেওয়ান: টঙ্গী থেকে।। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বিদের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান ও নফল নামাজ, তাসবিহ তাহলিল, জিকির-আসগার চলছে। আজ সোমবার তাসবিহ তাহলিল টঙ্গীতে জিকির- আসগার ও তাসবিহ তাহলিলের মাধ্যমে ইজতেমার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হচ্ছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার ৫৪তম আসর শেষ হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরব্বি মো. হারুন-অর-রশিদ। ঠান্ডা কনকনে বাতাস আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অপেক্ষা করে ময়দানের দিকে ছুটছেন মুসল্লীরা। ভিজে একাকার বিছানাপত্র, কাপড়-চোপড়। কাদাময় পথ চরম পিচ্ছিল।
ময়দানে পানির স্রোত । এমনি বৈরী পরিস্থিতির মধ্যে রোববার থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মাওলানা সা’দ পন্থীদের বিশ্ব ইজতেমা। বাদ ফজর ভারতের মাওলানা মো. ইকবাল হাফিজের আম-বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার দ্বিতীয় অংশের আনুষ্ঠানিকতা। এ বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আবদুল্লাহ মুনসুর। কাল সকাল ১০টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ সম্মেলনের ৫৪তম আয়োজন।
ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে নিয়ে বিভক্ত দাওয়াতে তাবলিগ। এবারের ইজতেমার প্রথম অংশ আয়োজন করেন মাওলানা মুহাম্মদ জোবায়েরপন্থী (সাদবিরোধী) মুরব্বিরা। শনিবার সকালে এ অংশের আখেরি মোনাজাতের পর মধ্যরাতে মাঠের নিয়ন্ত্রণ নেয় প্রশাসন। পরে মাঠ বুঝিয়ে দেয়া হয় সাদপন্থী মুরব্বিদের। তখন থেকে তাবলিগের সাদ সমর্থক ও সাধারণ মুসল্লীরা ময়দানে ঢুকতে শুরু করেন। বাদ ফজর ইজতেমার কার্যক্রম (আম-বয়ান)। বয়ান শুরু হওয়ার পরপরই বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস শুরু হলে দুর্ভোগে পড়েন মুসল্লীরা। প্রায় ২ ঘণ্টা চলে এ ঝড়- বৃষ্টি। এর মধ্যেই মুসল্লীরা আ’ম বয়ান শুনতে থাকেন।
রোববার দুপুর থেকে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত ৩৫টি দেশের ৫ শতাধিক বিদেশী মেহমান এসেছেন। আয়োজকদের অন্যতম মুরব্বি মো. হারুন-অর রশিদ জানান, সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার বাদ ফজর জোবায়েরপন্থীদের ইজতেমা (প্রথম অংশ) শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু তারা একদিন আগে বৃহস্পতিবার বাদ আসর থেকেই বয়ান শুরু করেন। আবার শনিবার মোনাজাতের পর অব্যবহৃত জিনিসপত্র, উচ্ছিষ্ট খাবার ও আবর্জনা ফেলেই মাঠ ত্যাগ করেন। স্থানীয় প্রশাসন মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিলেও স্বল্প সময়ে প্রশাসনের পক্ষে মাঠের পুরো আবর্জনা সরানো সম্ভব হয়নি। এ পরিবেশের মধ্যে রোববার ফজরের সময় মুসল্লীরা মাঠে ঢোকেন। সকাল হতে না হতেই শুরু হয় বজ্রসহ বৃষ্টি।
হারুন-অর রশিদ আরো বলেন, মাঠ বুঝে নেয়ার পর বেশ কিছু মাইক, কোথাও পানির লাইন ও গ্যাস লাইনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া গেছে। ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষতি হয় আরও কয়েক স্থানে। যতটুকু সম্ভব আমরা মেরামত করেছি। বাকিটা ঠিক করে দেয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, শনিবার মধ্যরাতে ইজতেমা ময়দান সাদপন্থী মুরুব্বিদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
মাঠে টুকটাক সমস্যা থাকলেও তা রোববার সকালেই সমাধান করা হয়েছে। তবে ইজতেমা এলাকায় আইনশৃঙ্খলাসহ সব ব্যবস্থাপনা আগের মতোই বহাল রয়েছে।সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার আখেরি মোনাজাত হওয়ার কথা থাকলেও মাঠ পরিস্থিতি ও বৈরী আবহাওয়াসহ কয়েকটি কারণে ইজতেমার সময় ১ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন মুরব্বিরা। পরে এ বিষয়ে আবেদন করেন প্রশাসনের কাছে। ইজতেমার অন্যতম মুরুব্বি আশরাফ আলী বলেন, মাশোয়ারার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইজতেমার আখেরি মোনাজাত মঙ্গলবার নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিন
সকাল ১০টার দিকে আখেরি মোনাজাত হবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান বাসসকে জানান, ইজতেমায় আগত মুসল্লীদের সার্বিক নিরাপত্তা, যানজট নিরসনসহ সার্বিক বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। ইজতেমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। রোববার বয়ান করলেন যারা : বাদ ফজর ভারতের মাওলানা ইকবাল হাফিজ উর্দুতে বয়ান করেন, তা বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের আবদুল্লাহ মুনসুর। বাদ জোহর বয়ান করেন নিজামুদ্দিন মারকাজের মুরব্বি মাওলানা আবদুল বারী। বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ। বাদ আসর বাংলাদেশের মাওলানা মোশাররফ হোসেন। বাদ মাগরিব বয়ান করেন দিল্লীর মাওলানা শামীম আহমদ। অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা আশরাফ আলী।
আজ সোমবার বাদ ফজর বয়ান করেন মাওলানা মুরসালিন, নিজামুদ্দিন মারকাজ। বাংলায় অনুবাদক করেন মাওলানা আবদুল্লাহ মনসুর কাসেমি। সকাল সাড়ে ৯টায় তালিমের মুয়ালীমদের উদ্দেশ্যে বয়ান করেন মুফতি রিয়াছত আলী, নিজামুদ্দিন মারকাজ। সকাল ১০টায় প্রতি খিত্তায় তালিম শুরু হয়। বাদ জোহর বয়ান করবেন মুফতি শাহজাদ, নিজামুদ্দিন মারকাজ। বাংলায় অনুবাদক করেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। বাদ আছর বয়ান করবেন, সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, আহলে শুরা, বাংলাদেশ। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন, মাওলানা শওকত, নিজামুদ্দিন মারকাজ। বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা মুফতী জিয়া বিন কাসেম।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার বাদ ফজর বয়ান করবেন, ইকবাল হাফিজ, নিজামুদ্দিন মারকাজ। বাংলায় তরজমা করবেন, মুফতি উসাম ইসলাম। বয়ান, হেদায়েতের কথা : মাওলানা শামীম আহমদ, নিজামুদ্দিন মারকাজ ও ইজতেমার জিম্মাদার। বাংলা তরজমা করবেন মাওলানা আশরাফ আলী। দোয়া : মাওলানা শামীম আহমদ, নিজামুদ্দিন মারকাজ ও ইজতেমার জিম্মাদার। কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় বয়ান করবেন বাংলাদেশের ইকবাল হাফিজ ও এলাহাবাদের শাহেদ।
খাওয়াছদের (ভিআইপি) বয়ান : সকাল ১০.৩০ মিনিটে বয়ান করবেন মুফতি সাজিদ, নিজামুদ্দিন মারকাজ। বধিরদের উদ্দেশ্যে বয়ান : মাওলানা ওমর মেওয়াতি, নিজামুদ্দিন মুরব্বি। আরবি খিত্তায় বয়ান : মাওলানা আব্দুলাহ, কাকরাইল। ইংরেজি খিত্তায় বয়ান : প্রফেসর লিয়াকত, নিজামুদ্দিন মারকাজ। মালশিয় খিত্তায় বয়ান : মুফতী শাহজাদ ও মুফতি রিয়াছত, নিজামুদ্দিন মারকাজ। উর্দু খিত্তায় বয়ান : মাওলানা শওকত, নিজামুদ্দিন মারকাজ।
রুশ (রাশিয়া) খিত্তায় বয়ান : প্রফেসর নওশাদ, নিজামুদ্দিন মারকাজ। চায়না খিত্তায় বয়ান : মাওলানা আসআদ, নিজামুদ্দিন মারকাজ। খাওয়াছ বয়ান (ভিআইপি) : মাওলানা আলতমাস, নিজামুদ্দিন মারকাজ। অনুবাদক : মাওলানা ইদ্ররিস প্রসাশনের সাথে মোজাকরা করবেন, প্রফেসার লিয়াকত, নিজামুদ্দিন মারকাজ। ওলামাদের বয়ানের মিম্বর : মাওলানা শওকত, নিজামুদ্দিন মারকাজের আহলে শুরা ও মাওলানা আব্দুল বারি, শীর্ষ মুরুব্বি নিজামুদ্দিন মারকাজ। আরবি ত্বোলাবা বয়ান : মুফতী রিয়াছত ও মালানা ফারহান, নিজামুদ্দিন মারকাজ। বাংলায় অনুবাদ করবেন, মাওলানা মুয়াজ বিন নূর। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুরের আগেই বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরী মোনাজাতে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের শীর্ষ মুরব্বি ও ইজতেমার জিম্মাদার মাওলানা শামীম আহমদ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করবেন।
মুসল্লীদের অবস্থান : ৮৪ খিত্তায় অবস্থান করছেন মুসল্লীরা। এর মধ্যে মিরপুর (খিত্তানং ১ ও ২), সাভার (৩ ও ৪) টঙ্গী (৫), উত্তরা (৬ ও ৭), কাকরাইল (৮-১৪), মোহাম্মদপুর (১৫), যাত্রাবাড়ী (১৬), ডেমরা (১৭), কেরানীগঞ্জ (১৮ ও ১৯), ধামরাই (২০), নবাবগঞ্জ ও দোহার (২১), টাঙ্গাইল (২২), মানিকগঞ্জ (২৩), নারায়ণগঞ্জ (২৪), নরসিংদী (২৫), গাজীপুর (২৬), মুন্সীগঞ্জ (২৭), কিশোরগঞ্জ (২৮), ফরিদপুর (২৯), রাজবাড়ী (৩০), শরীয়তপুর (৩১), মাদারীপুর (৩২), গোপালগঞ্জ (৩৩), নওগাঁ (৩৪), চাঁপাইনবাবগঞ্জ (৩৫), জয়পুরহাট (৩৬), নাটোর (৩৭), বগুড়া (৩৮), পাবনা (৩৯), সিরাজগঞ্জ (৪০), রাজশাহী (৪১), ময়মনসিংহ (৪২), নেত্রকোনা (৪৩), সুনামগঞ্জ (৪৪), সিলেট (৪৫), হবিগঞ্জ (৪৬), মৌলভীবাজার (৪৭), চট্টগ্রাম (৪৮), লক্ষ্মীপুর (৪৯),
বান্দরবান (৫০), রাঙ্গামাটি (৫১), খাগড়াছড়ি (৫২), কক্সবাজার (৫৩), নোয়াখালী (৫৪), ফেনী (৫৫), বি. বাড়িয়া (৫৬), কুমিল্লা (৫৭), মাগুড়া (৫৮), শেরপুর (৫৯), জামালপুর (৬০), যশোর (৬১), চাঁদপুর (৬২), সাতক্ষীরা (৬৩), নড়াইল (৬৪), ঝিনাইদহ (৬৫), বাগেরহাট (৬৬), মেহেরপুর (৬৭), খুলনা (৬৮), চুয়াডাঙ্গা (৬৯), কুষ্টিয়া (৭০), রংপুর (৭১), দিনাজপুর (৭২), লালমনিরহাট (৭৩), নীলফামারী (৭৪), পঞ্চগড় (৭৫), কুড়িগ্রাম (৭৬), ঠাকুরগাঁও (৭৭), গাইবান্ধা (৭৮), পটুয়াখালী (৭৯), ঝালকাঠি (৮০), ভোলা (৮১), বরিশাল (৮২), বরগুনা (৮৩) ও পিরোজপুর জেলার মুসল্লিরা ৮৪নং খিত্তায় অবস্থান করবেন।
এদিকে মুসল্লীদের খোঁজ খবর নিতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ¦ মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র আলহাজ¦ মো: জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, গাজীপুর মেট্রোপুলিশ কমিশনার ওয়াইএম বেলালুর রহমান ইজতেমা মাঠের পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন এবং মুসল্লীদের সার্বিক কল্যাণে কাজ করার নির্দেশ দেন।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে এক মুসল্লীর মৃত্যু টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেয়া মো. ইসমাইল হোসেন (৬০) নামে এক মুসল্লীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি নিজ খিত্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই মুসল্লীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। মো. ইসমাইল হোসেন বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার লেবু খানের ছেলে। ইজতেমা ময়দানের মাসলেহাল জামাতের জিম্মাদার ডা. মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাদ ফজর ইজতেমা ময়দানে মৃত মুসল্লীর জানাজার নামাজ পড়ানো হয়।
ট্রেন সার্ভিস : টঙ্গীর রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তা মো. হালিমুজ্জামান জানান, আখেরি মোনাজাতের দিন মুসল্লীদের সুষ্ঠুভাবে যাতায়াতের জন্য ১১ জোড়া বিশেষ ট্রেনসহ ১২০টি ট্রেন টঙ্গীতে যাত্রাবিরতি করবে। যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা : পুলিশ জানিয়েছে, আখেরি মোনাজাতে মুসল্লীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচলে গাজীপুর ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আজ মধ্যরাত থেকে কাল রাত ৮টা পর্যন্ত আবদুল্লাহপুর থেকে ভোগড়া বাইপাস এবং মীরের বাজার থেকে টঙ্গী স্টেশন রোড পর্যন্ত উভয়মুখী রাস্তায় সব প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানায়, সিটি মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম ২ দিনের লাখো মুসল্লীর ফেলে যাওয়া আবর্জনা পরিষ্কারসহ পানি, গ্যাস এবং পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যার সমাধানে কর্পোরেশনের লোকজনকে নির্দেশ দিয়েছেন। পানি উত্তোলনের জন্য ৩২টি মোটর এবং গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা করেন। তিনি ময়দানে গিয়ে মুসল্লীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।