বিশ্ব আবহাওয়া দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ৮ চৈত্র (২২ মার্চ) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ২৩ মার্চ ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২১’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
পৃথিবীর আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনে সমুদ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এ বছরের বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সমুদ্র, আমাদের জলবায়ু ও আবহাওয়া’ যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
টেকসই উন্নয়নে জাতিসংঘ ২০২১-২০৩০ পর্যন্ত সময়কে সমুদ্রবিজ্ঞান দশক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে আরো সম্যক ধারণা অর্জনের জন্য সমুদ্র বিষয়ক জ্ঞান অর্জন অপরিহার্য। গ্রিন হাউজ গ্যাস দ্বারা বায়ুমণ্ডলে আবদ্ধ তাপশক্তির বেশির ভাগই সমুদ্র সংরক্ষণ করে যা জলবায়ু পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এজন্য সমুদ্রের তাপমাত্রা ও উচ্চতা বৃদ্ধি অনুধাবনে ব্যাপক পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা অপরিহার্য।
সমন্বিত দুর্যোগ ও আগাম সতর্কবার্তা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসসহ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আবহাওয়া ও জলবায়ুর অন্যতম বৈশ্বিক নিয়ামক হিসেবে সমুদ্রে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ অক্ষুণ্ন রাখার জন্য শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
এক্ষেত্রে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃত সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ক সহযোগী সকল সংস্থার সাথে একযোগে কাজ করছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সমুদ্র পর্যবেক্ষণে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আবহাওয়া ও জলবায়ুতে সমুদ্রের অবদান সম্পর্কে অবহিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
একইভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তথ্য আদান প্রদানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এ দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু সমুদ্রের উপর বহুলাংশে নির্ভরশীল। ফসল উৎপাদন, মৎস্য চাষসহ অন্যান্য আর্থসামাজিক কর্মকাণ্ড আবহাওয়া ও জলবায়ুর গতি-প্রকৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আমি আশা করি, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্য, পূর্বাভাস এবং আগাম সতর্কবার্তা নির্ভুলভাবে জনগণের নিকট পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে।আমি ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২১’এর সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করি।জয় বাংলা।খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”