প্রধান মেনু

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে যুক্তরাজ্যের নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ১৬ শ্রাবণ (৩১ জুলাই): বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার Sarah Cooke সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

হাইকমিশনার বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিবর্তন ব্যক্ত করে বলেন, আঞ্চলিক কনেকটিভিটি বাড়ানোর উদ্যোগ প্রসংশনীয়। ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি, এবং নেপাল বা ভূটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি নিয়েও আলোচনা হয়। উইন্ড ল্যাব, অফশোর উইন্ড গাইড লাইন, কার্বন প্রাইজিং ও ট্রেডিং-এর ওপর সক্ষমতা বৃদ্ধি, কৃষকবান্ধব মডেলে সোলার ইরিগেশন পাম্প পাইলাটিং করার আগ্রহ প্রকাশ করে স্রেডার সাথে যুক্তরাজ্য কাজ করতে চায়। এ সময় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অবস্থা, বহির্বিশ্বের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ, গভীর সমুদ্রে গ্যাস-তেল অনুসন্ধান, অফশোর বায়ু বিদ্যুৎ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, নবায়ণযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ, সোলার ইরিগেশন পাম্প, সোলার মিনি গ্রিড, বিদ্যুৎ আমদানি, বিদ্যুতায়নে সামাজিক পরিবর্তন, সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা, সঞ্চালন লাইন ও বেসরকারিকরণ, লাইফ লাইন গ্রাহক, এনার্জি ট্রান্সমিশন, নেট মিটারিং সিস্টেম, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল, এনার্জি মিক্স ইত্যাদি বিষয় আলোচনায় স্থান পায়। এ সময় হাইকমিশনার প্রতিমন্ত্রীকে কপ-২৮-এ অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।

প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার দিনে দিনে বড় হচ্ছে।  বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের এ খাতে বিনিয়োগ তেমন দেখা যাচ্ছে না। যুক্তরাজ্যকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, লৌহ আকরিক বা লোহ খনির উন্নয়নে আমরা এক সাথে কাজ করতে পারি। নিরবচ্ছিন্ন, নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ পরিষ্কার জ্বালানি হতে উৎপন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে প্রযুক্তির অবাধ বিচরণ আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য সহযোগিতা করতে পারে।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক ও সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল উপস্থিত ছিলেন।