প্রধান মেনু

বিজিবিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ উদ্‌যাপন

ঢাকা, ৩ চৈত্র (১৭ মার্চ) : সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা, বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরসহ সারাদেশে বিজিবি’র সকল ইউনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ, ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) এর ৩য় ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণ ও ‘অসমাপ্ত মহাকাব্য’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বিশেষ আলোচনা হয়।

ঢাকায় বিজিবি সদর দপ্তর, পিলখানাস্থ সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ১৯২০ সালের এই দিনে জাতির পিতার জন্ম না হলে হয়তো এখনও আমরা পশ্চিম পাকিস্তানের সেই পরাধীনতার শিকলে বন্দি থেকে যেতাম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ইতিহাস পর্যালোচনা করলে ছোটবেলা থেকেই তাঁর মধ্যে মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, সহানুভূতি ও মহানুভবতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলির পরিচয় পাওয়া যায়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় থেকেই তাঁর নেতৃত্বের গুণাবলি প্রস্ফুটিত হতে থাকে এবং একজন আপসহীন ও অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে। তিনি ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলনে জেলখানায় থেকেও তিনি নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালের ৬ দফা দাবি, ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলন এবং সর্বোপরি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন।

জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে পিলখানায় তৎকালীন বিডিআরের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী এই বাহিনীর করণীয় ও দায়িত্ব সম্পর্কে যে সুচিন্তিত নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সেটি হৃদয়ে ধারণ করে বিজিবি’র ওপর অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব দক্ষতা, সততা, ন্যায়, নীতি ও নিষ্ঠার সাথে পালনের আহ্বান জানান বিজিবি মহাপরিচালক।

দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল অনুষ্ঠানে বিজিবি’র সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা এবং সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।