প্রধান মেনু

বিএনপি ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও সেসময়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারেনি — তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ১৭ আশ্বিন (২ অক্টোবর) : বিএনপি ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও সেসময়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারেনি, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।আজ চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি শিরিষ তলায় সামাজিক সংগঠন ‘তিলোত্তমা চট্টগ্রাম’আয়োজিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে পাঁচ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠিক মতো হচ্ছে না বিএনপির এমন অভিযোগ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ ও ’৯২ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন বাংলাদেশে যেসব রোহিঙ্গা এসেছিল তাদের বেশিরভাগই রয়ে গেছে, ফেরত যায়নি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলবো ১৯৯১ সালের পর বিএনপি দু’দফায় ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল, তাদের সময়ে যে রোহিঙ্গারা এসেছিল তাদেরকে তারা ফেরত পাঠাতে পারেননি।বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন, ফলে সেখানে চলমান বর্বরতার হাত থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা রক্ষা পেয়েছে এবং এতে সমগ্র পৃথিবী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যম প্রধানমন্ত্রীকে ‘মাদার অভ হিউম্যানিটি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

সমগ্র পৃথিবী যেখানে প্রশংসা করছে সেখানে বিএনপি তার প্রশংসা করতে পারেনি।ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই ওআইসি’র পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিচার হচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের সরকার কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে নয়, কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে চাপের মাধ্যমে, কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে চায়, আমরা সেই পথেই হাঁটছি।

এতে ইতিমধ্যে অনেক সফলতা এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আদালত থেকে মিয়ানমারকে সমন দেয়া হয়েছে, পাশাপাশি কিছু নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়ে যাবার জন্য বলা হয়েছে। অনেককে বিচারের আওতায় আনতে বলা হয়েছে।প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালত থেকে তিরস্কারের মতোই করা হয়েছে।এটি বাংলাদেশেরই কূটনৈতিক তৎপরতার সফলতা। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশে আসার পর ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি বৃক্ষরোপণকে আন্দোলনে রূপান্তর করার উদ্দেশ্যে কৃষক লীগের মাধ্যমে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু করেছিলেন।

’৯৬ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবার পর বৃক্ষরোপণকে পরিপূর্ণভাবে একটি আন্দোলনে রূপান্তর করতে তিনি সক্ষম হয়েছেন। এই আন্দোলনের পেছনে তিলোত্তমা চট্টগ্রামের মতো সামাজিক সংগঠনগুলোর বিরাট অবদান রয়েছে।তিলোত্তমা চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাহেলা আবেদীন রীমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, সিএমপি’র উপ পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক, সাংবাদিক ওসমান গণি মনসুর, সিপিডিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখার সোহাগ, চট্টগ্রামের প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, এলভিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান রইস উদ্দিন সৈকত, শিল্পপতি এস এম আবু তৈয়ব, লায়ন শামসুদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ।