প্রধান মেনু

বিএনপি নেত্রীর জন্য শেখ হাসিনা যা করেছেন জিয়া-খালেদা ক্ষমতায় থাকতে তা করেছেন কিনা প্রশ্ন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর

চট্টগ্রাম, ১৯ অগ্রহায়ণ (৪ ডিসেম্বর) :  যারা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে কথা বলছেন তাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জন্য এমন ব্যবস্থা তারা করেছিলেন কিনা? তারা যা করেননি, সেটি বঙ্গকন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা করেছেন। সুতরাং তাদের প্রথমেই শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো দরকার।

 মন্ত্রী আজ চট্টগ্রাম ক্লাবে বাংলাদেশ-রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের প্রারম্ভে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে  এসব কথা বলেন।  চট্টগ্রাম ক্লাবের সভাপতি নাদের খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানটিসকি। অন্যান্যের মধ্যে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি, রাশিয়ান কনফেডারেশনের অনারারি জেনারেলবৃন্দ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপি মহাসচিবের আহ্বান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত কিছুদিন ধরে বিএনপির বক্তৃতা বিবৃতি ও নানা কর্মসূচিতে মনে হচ্ছে বিএনপির একমাত্র মাথাব্যথা বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য। দেশ ও দেশের অন্য কোনো বিষয় নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা নেই। একটি দলের রাজনীতি যখন শুধু তাদের নেত্রীর স্বাস্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়, সেইদল কখনো জনগণের দল হতে পারেনা।

 তিনি বলেন, ‘আরেকটি বিষয় হচ্ছে, বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহমর্মিতা দেখানোর ফলেই তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়া সত্ত্বেও তার পছন্দ অনুযায়ী দেশে সবচেয়ে ভালো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি কারাগারের বাইরে আছেন, পরিবার-পরিজনের সাথে আছেন। তার ও বিএনপির  ইচ্ছে অনুযায়ী সমস্ত চিকিৎসা হচ্ছে।’

খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানো বিএনপির যে দাবি এটির পেছনে রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি আছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি আগেও যখন অসুস্থ হয়েছিলেন, তখনও তারা সমস্বরে বলেছিলেন খালেদা জিয়াকে বিদেশ না পাঠালে তিনি কখনো ভালো হবেন না। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসাতে ভালো হয়ে ঘরে ফেরত গিয়েছিলেন। এখনো কামনা করি তিনি ভালো হয়ে ঘরে ফিরে যান। কিন্তু বিএনপি সেটি চায় কিনা এটিই হচ্ছে প্রশ্ন ? বিএনপিনেতারা চান খালেদা জিয়া হাসপাতালে থাক। তাহলে তাদের রাজনীতি করতে সুবিধা হয়।’

এসময় খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ সেলিমের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক এবং তদন্তের আগে কাউকে দোষারোপ করা সমীচীন নয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তার হার্টসহ অন্য কোনো অসুখ ছিল কিনা সেটি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। পোস্টমর্টেম রিপোর্টসহ অন্যান্য ইনভেস্টিগেশন করলে বেরিয়ে আসবে তিনি অন্য কোনো অসুখে অসুস্থ ছিলেন কিনা। সেটি করার আগে কাউকে দোষারোপ করা সমীচীন নয়। এই মৃত্যুর জন্য যদি কেউ দায়ী হয়, তদন্তে যদি সেটি বেরিয়ে আসে, তিনি যেই হোক অবশ্যই সরকার ব্যবস্থা নেবে।’