ফরিদপুর  নিজস্ব  প্রতিনিধি :  এবারের নির্বাচন অংশগ্রহন ও প্রতিদ্বন্দীতামূলক নির্বাচন হবে সেটাই প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু সেই পরিবেশ কেন সৃষ্টি হচ্ছে না তা আমার বোধগম্য নয়। বিএনপি নির্বাচনের ফরিদপুরে প্রচার প্রচারনায় যেভাবে নিস্ক্রিয় রয়েছে তাতে আমার সন্দেহ হয় ভিতরে ভিতরে তারা কোন খারাপ মতলব পাকাচ্ছে কি না। তা না হলে শহরে কোন পোষ্টার লাগাইতেছে না, আবার ভোটও চাইতে নামে না। উল্টো নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নালিশ দিচ্ছে, তাদের নাকি আমরা প্রচারনা চালাইতে দিতেছি না। আমি এমন নির্বাচন চাই না।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং প্রবাসী কল্যান মন্ত্রী ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি রবিবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের বদরপুরে মন্ত্রীর তাঁর বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, যা সম্ভব না, তবুও নির্বাচনের স্বার্থে আমি বলছি বিএনপির লোকজন যখন ভোট চাইতে মাঠে নামবে আমি আমার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সেখানে যেতে দিব না তবুও তারা নির্বাচনের মাঠে থাক। যদি প্রয়োজন হয় আমি আমার লোকজন দিয়ে তাদের জন্য মঞ্চ করে দিব তারা মিটিং করুক। আমি লোকজন দিয়ে তাদের ভোট চেয়ে দিব আমি তাতেও রাজি আছি।

তিনি বলেন, ফরিদপুরে নির্বাচনী প্রচারনা দ্বিতীয় দিন ইউসুফ নামে আমার এক নেতাকে তারা পিটিয়ে হত্যা করেছে আমি তাকে দেখতে পর্যন্ত যায়নি যাতে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি না হয়ে যায়। তারা কি কারনে অনর্থক নালিশ করে বেরাচ্ছে। এখনো ৭ দিন সময় আছে নিয়মনীতি মেনে তারা তাদের প্রচারনা চালাক। আমি চাই না নির্বাচনের পরে এমন কথা উঠুক যে আমরা তাদের মাঠেই নামতে দেয়নি।

এসময় সেখানে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা এ কে আজাদ, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, কোতয়ালী আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, শহর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বরকত ইবনে সালাম, জেলা যুবলীগের আহবায়ক এ এইচ এম ফোয়াদ উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এ কে আজাদ বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা চাই আওয়ামী লীগ সরকার আবারো ক্ষমতায় আসুক। পদ্মা সেতু, বিশেষ ইকোনমিক জোনসহ সারাদেশে ব্যবসা বানিজ্যের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে এই সরকারের আমলে। বিপরীতে এদেশের জন্য বিএনপির কি কনট্রিবিউশন ছিল তা সবাই জানে। তারা এদেশের কোন উন্নতি করতে পারেনি । যে কারনে আবারো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এটাই ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা।