বিএনপি’র দুর্নীতিবাজদের তথ্য আছে, কাজ চলছে — তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৮ কার্তিক (১৩ নভেম্বর) : ‘বিএনপি’র দুর্নীতিবাজ ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তথ্য সরকারের কাছে আছে, এসব তথ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে’, জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ। আজ চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে ‘চট্টগ্রামের সেরা করদাতা সম্মাননা প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ‘বিএনপি’র সারা অঙ্গে দুর্নীতি’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বাংলাদেশকে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ অর্থাৎ কালো টাকা বেগম খালেদা জিয়া জরিমানা দিয়ে সাদা করেছেন। বিএনপি’র অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান যিনি ন্যায়-নীতির কথা বলতেন, তিনি নিজেই কালো টাকা সাদা করেছেন।’ মন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি বিদেশেও উদঘাটিত হয়েছে। তারেক জিয়ার দুর্নীতির বিষয়ে দেশে এসে এফবিআই সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার প্রয়াত পুত্র কোকোর দুর্নীতিও উদঘাটিত হয়েছে। কোকোর দুর্নীতির মাধ্যমে পাচার করা টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে। তাদের সারা অঙ্গে দুর্নীতি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার তারা রাখে না।
’ বিএনপি’র পক্ষ থেকে চলমান শুদ্ধি অভিযানকে আইওয়াশ উল্লেখ করা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এখনও তো বিএনপি’র যারা দুর্নীতিবাজ, তাদের ধরা হয়নি। সেজন্য হয়তো তারা এমনটা মনে করছে। বিএনপি’র যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, যারা দুর্নীতির মাধ্যমে নানা কিছু অর্জন করেছে এবং সরকারকে, দেশকে, জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, সেই তথ্য সরকারের কাছে আছে। এগুলো নিয়েও সরকার নিশ্চয়ই কাজ করছে।’ ‘সরকারের ব্যর্থতার কারণে ট্রেন দুর্ঘটনা’- বিএনপি’র এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এই দুর্ঘটনা কেন ঘটেছে সেটা ইতোমধ্যে পত্রিকায় এসেছে। প্রাথমিকভাবে আমরা জেনেছি, চালকের ভুলের কারণে, সিগনাল অমান্য করার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের পর সেটা বেরিয়ে আসবে।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি খোঁজার বিএনপি’র যে অভ্যাস সেটি তাদের রাজনৈতিক দৈন্য ছাড়া কিছুই নয়। সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা সঠিক নয়। বরং যারা আহত হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে রাজনীতিবিদদের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। সংশ্লিষ্ট এলাকায় আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে, যারা আহত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়াতে।’ ‘কেউ আওয়ামী লীগে যোগ দিলেই তাকে অনুপ্রবেশকারী বলা যাবে না’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণসংগঠন। এখানে অন্য দল থেকে যোগ দিতে পারবে না, এমনটা নয়।
যে কোন দল থেকে যোগ দিতে পারে। তবে অবশ্যই তাকে আওয়ামী লীগের নীতি আদর্শে বিশ্বাসী হতে হবে। কোন যুদ্ধাপরাধী বা যুদ্ধাপরাধীর দলের সঙ্গে জড়িত কাউকে দলে নেওয়া সমীচীন নয়। যারা নানাভাবে অপকর্মের সাথে যুক্ত, কিংবা আমাদের দলের বিরুদ্ধে, নেতাকর্মীদের নির্যাতনে জড়িত, তাদেরকে আমাদের দলে নেয়া উচিত নয়। অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে যে তালিকাটা হয়েছে সেটা প্রাথমিক তালিকা। সেটা যাচাই- বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’