বিএনপির জিয়া হত্যার বিচার না করার রহস্য কী ? — তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দুই দু’বার রাষ্ট্র পরিচালনায় থেকেও বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার করেনি কেন- এ রহস্য উন্মোচন প্রয়োজন। সেইসাথে জিয়াউর রহমান যে শত শত সেনা সদস্যকে বিনাবিচারে হত্যা করেছেন, তারও বিচার করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অপরাধের বিচারের বিকল্প নেই’। মন্ত্রী আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ‘২০০৭ সালের ১৬ জুলাই জননেত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস স্মরণে’ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন বেগম জিয়া ও তাঁর পুত্র তারেক। তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকেও জিয়া হত্যার বিচার করেনি। এর রহস্য কী তা জানতে হবে। জাতির পিতার হত্যাকারীদের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে জিয়া শত শত সেনা সদস্যকে, এমনকি ছুটি থেকে ডেকে এনেও তাদের হত্যা করেছেন, এরও বিচার হওয়া প্রয়োজন। শেখ হাসিনার সরকার ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী’। রাজনীতির আদর্শগত দিক তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘সাত-সমুদ্রের ওপার থেকে দ-প্রাপ্ত আসামির লম্বা লম্বা কথা কোনো রাজনীতি হতে পারে না। বুলেটের সামনে যেতে কিংবা হাতকড়া পরতে প্রস্তুত সাহসী রাজনীতিকই প্রকৃত রাজনীতিক।
বিপদের মুখে পলায়ন নয়, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার সাহস থাকতে হয় রাজনীতিকদের’। সুশাসন ও অবিস্মরণীয় উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে যুগান্তকারী উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও অব্যাহত নেতৃত্ব কামনা করেন। ‘দলের দুঃসময়ে অনেক নেতা টলায়মান হলেও দলের কর্মীরা যেমন অটল বিশ্বাসে বলীয়ান ছিলেন তেমনিভাবে ভবিষ্যতেও যেকোনো পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের অটল থাকতে হবে’ – বলেন ড. হাছান।
আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা সভায় বক্তব্য রাখেন। জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক জেনিফার ফেরদৌস, সদস্য চিত্রনায়িকা শাহনূরসহ জোটের বিপুল সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতিতে সভাটি প্রাঞ্জল রূপ নেয়।