প্রধান মেনু

বার্লিনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন

বার্লিন, ২৬ মার্চ : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২১ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস, বার্লিন যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে অনলাইনভিত্তিক জুম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে।

জার্মানিতে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায়  নিয়ে ও স্বাগতিক দেশের নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে জার্মানিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ অনলাইনে এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ দূতাবাস প্রাঙ্গণ থেকে উপর্যুক্ত আলোচনাসভায় যোগদান করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মচারীর উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জাতীয় সংগীত বাজানোর মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর  রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের সকল কর্মচারীদের নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির পিতা ও জাতীয় স্মৃতি সৌধের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

অতঃপর জুম প্ল্যাটফর্মে সংযোগের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক আলোচনা কর্মসূচি আরম্ভ হয়, যেখানে জার্মানিতে বসবাসরত বাংলাদেশি, প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ এবং জার্মানিতে অবস্থানরত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

ভার্চুয়াল আলোচনার শুরুতেই মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২১ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী  উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী  প্রেরিত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২১ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী  উপলক্ষে প্রেরিত প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়, যা উপস্থিত সকলে আগ্রহভরে শোনেন ও অবলোকন করেন।

অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক মূল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তির সংগ্রাম, অর্জিত স্বাধীনতা ও জাতীয় ত্যাগ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির পর বাংলাদেশের অসামান্য অর্জনের বিষয়ে আলোচনা হয়।

অংশগ্রহণকারী বিদেশি আলোচকরা বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অভূতপুর্ব অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন। জার্মানিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ অনলাইনে চমৎকার এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি স্বদেশ, স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাদের নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

পরে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যদের জন্য, সকল শহিদ ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের জন্য, বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। পরিশেষে দূতাবাসের মিনিস্টার ও দূতালয় প্রধান আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।