প্রধান মেনু

বাজার তদারকি ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ১১ হাজার টাকা জরিমানা

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর, রাজশাহী, ভোলা, সিলেট, ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ, নাটোর, ঝালকাঠি, কিশোরগঞ্জ, বগুড়া, হবিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, নেত্রকোণা ও বরগুনায় গতকাল বাজার তদারকি করা হয়। ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরীর মতিঝিল, শাহজাহানপুর ও রামপুরা এলাকায় বাজার তদারকি পরিচালনা করা হয়।

বাজার তদারকিকালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে আল ফারুক রেস্টুরেন্টকে ৪০ হাজার টাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রির অপরাধে আজিজ ফার্মেসিকে ২০ হাজার টাকা, প্যান প্যাসিফিক হাসপাতাল ফার্মেসিকে ২০ হাজার টাকা, রাহাত ফার্মেসিকে ২৫ হাজার টাকা, জামান ফার্মেসিকে ৩০ হাজার টাকা, খুরশেদ ড্রাগ হাউজকে ২৫ হাজার টাকা, এস এ ড্রাগ হাউজকে ২৫ হাজার টাকা ও হক বেকারীকে ৩০ হাজার টাকা এবং পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে মি কিং কেক এন্ড পেস্ট্রি শপকে ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

এছাড়া দেশব্যাপী ১৬টি জেলায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবাগ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য, অবহেলা ইত্যাদি দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ইত্যাদি ঘটানো, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় ও প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করার অপরাধে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৪ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ৫ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসেবে ১৬ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। গত ২ ডিসেম্বর ১৮টি বাজার তদারকি ও ৫টি অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ লাখ ১১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।

আদায়কৃত জরিমানা হতে ৫ জন অভিযোগকারীকে ১৬ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান ও জেলা পুলিশ, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং কনজুমারস এসোসিয়েশন অভ্ধসঢ়; বাংলাদেশ (ক্যাব) এসব তদারকি কার্যে সহায়তা প্রদান করেন।