বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ইসলামাবাদে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে আজ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে সকালে চ্যন্সারিতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত হাইক০িমশনার মোঃ নাজমুল হুদা তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অতুলনীয় নেতৃত্ব এবং তাঁর সেই সব সুযোগ্য সতীর্থ যাঁরা ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ করেছিলেন তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার দুরূহ দায়িত্ব পালনে সৈয়দ নজরুল ইসলাম,তাজউদ্দীন আহমেদ, এম মনসুর আলী, এইচ.এম কামারুজ্জামান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ যে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তার স্মৃতিচারণ করে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, বাঙালি জাতি তার এই সাহসী এবং বিচক্ষণ সন্তানদের চিরকাল কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে। ভারপ্রাপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, মুজিবনগর সরকার শুধু যে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐক্যকে রক্ষা করেছে তা নয়, সেই সাথে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের আইনগত এবং নৈতিক বৈধতাও নিশ্চিত করেছে। পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের নিরীহ জনগণের ওপর যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে, মুজিবনগর সরকার তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করতে এবং বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি তাদের সমর্থন আদায়ে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত মুজিবনগর সরকার আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকে ও বিচ্ছিন্নতাবাদের সম্ভাব্য অভিযোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকারের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বাঙালি জাতির জন্য চিরকাল দেশপ্রেম, সাহস, প্রজ্ঞা এবং গণতান্ত্রিক চেতনার উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবেন বলে তিনি তাঁদের প্রতি তার বিশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। আলোচনা শেষে,মুজিবনগর ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। হাইকমিশনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।