বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ ও যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রত্যাখ্যান করে এবং এর নিন্দা জানায় — রাবাব ফাতিমা

নিউইয়র্ক, ৮ অক্টোবর: জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কঠোরভাবে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রেখেছে”। গতকাল নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের উপায়’ শীর্ষক জাতিসংঘের এক প্লেনারি সভায় বক্তব্য প্রদানকালে তিনি একথা বলেন। এ প্রসঙ্গে রাবাব ফাতিমা সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্নমুখী কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন।
স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাসবিরোধী সকল আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের সাথে যুক্ত। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ ‘সন্ত্রাস-বিরোধী আইন-২০১২’ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০৯’ প্রণয়নসহ ব্যাপকভিত্তিক প্রয়াস গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাস দমনে ‘সমগ্র সমাজ কেন্দ্রিক’ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি, কমিউনিটির অংশগ্রহণ, সন্ত্রাস প্রতিরোধ করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার সামর্থ্য বৃদ্ধিসহ জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ।সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াইয়ে নীতি নির্ধারণের জন্য ২০০৬ সালে গৃহীত ‘জাতিসংঘের বৈশ্বিক সন্ত্রাসদমন কৌশল’-কে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
এছাড়া আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান ধারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ এবং জাতিসংঘ সন্ত্রাস দমন কৌশলে যে সকল বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা বাস্তবায়নার্থে উদ্ভাবনী সমাধানের সন্ধান করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।সন্ত্রাসবাদের মূল কারণ খুঁজে বের করা এবং এসকল প্রবণতা নির্মূল করার লক্ষ্যে চলমান ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমন বিষয়ক ব্যাপকভিত্তিক কনভেনশন’ অতিদ্রুত সম্পন্ন করার উপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। সন্ত্রাসবাদ ও যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবসময়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নির্ভরযোগ্য অংশীজন হিসেবে থাকবে মর্মে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। কোভিড-১৯ এর কারণে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত এই সভা সংক্ষিপ্ত আকারে এবং সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে অনুষ্ঠিত হয়।