প্রধান মেনু

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য ক্লাইমেট পার্টনারশিপ রাউন্ড টেবিল জ্বালানি মিশ্রণে  ক্লিন ও গ্রিন জ্বালানির অংশ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে– বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৯ জ্যৈষ্ঠ (২ জুন) : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি মিশ্রণে ক্লিন ও গ্রিন জ্বালানির অংশ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ আসবে। ইতোমধ্যে ৫৮ লাখ সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে ২ কোটি গ্রামীণ জনগণকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ ‘বাংলাদেশ যুক্তরাজ্য ক্লাইমেট পার্টনারশিপ’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যকে প্রাধান্য দিয়ে আমাদের পরিকল্পনা ও কৌশল গৃহীত হয়েছে।  নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে গবেষণার জন্য বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল এবং জ্বালানি দক্ষতা অর্জন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সৌরশক্তি বা সৌর বিদ্যুতের সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু জমির স্বল্পতার জন্য বড় আকারে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা সম্ভব হচ্ছে না। স্বল্প জমিতে বেশি সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উন্নত দেশের সাথে একযোগে কাজ করা যেতে পারে।

১২ এপ্রিল ২০২১  Second Virtual Ministerial Meeting of the COP26 Energy Transition Council (COP26 ETC) এবং ৪ ডিসেম্বর ২০২০ অনুষ্ঠিত ‘First Round of Energy Transition Council Dialogues’ এর অংশগ্রহণ করার প্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে যুক্তরাজ্য বৈশ্বিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির অংশ বাড়াতে অব্যাহতভাবে গবেষণা করছে। বায়ু, বিদ্যুৎ, ওশান রিনিউবল এনার্জি, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, ইলেকট্রনিক ভেহিক্যাল ইত্যাদি আগামীর জ্বালানি মিশ্রণে ব্যাপক অবদান রাখবে।