বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিশ্বে অনুসরণীয় —মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ইতিহাসে অনন্য। প্রতিবেশী এ দু’টি দেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। আজ পরিবহন পুল ভবনস্থ নিজ অফিসকক্ষে ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলীর সাথে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভারত সরকারের সহযোগিতার স্মৃতি রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মিত্র বাহিনীর দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণার স্থান এবং যৌথবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থান সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সম্মাননা জানানোর জন্য ১৫৯৫টি ক্রেস্ট সংরক্ষিত আছে। ভারত সরকার দ্রুততম সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে এ সম্মাননা প্রদানের সুযোগ করে দেবে মর্মে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী বলেন, কিছু দ্বিপাক্ষিক সমস্যা থাকলেও দু’দেশের সম্পর্ক বর্তমানে উল্লেখযোগ্য। দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলো সমাধানে ভারত সরকার আন্তরিক হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। ভারত সরকার প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনীদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদানের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য তিনি ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, সে সময় বিশ্বের পরম প্রতিকূলতার মধ্যেও একমাত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রীইন্দিরা গান্ধী ব্যক্তিগত দৃঢ়তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলন। ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান প্রশংসনীয়। ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপনের প্রস্তাব দিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, পারস্পরিক সহমর্মিতা ও সহযোগিতা যাতে ভবিষ্যতেও অক্ষুণ্য থাকে সে বিষয়ে দুই দেশকে এক সাথে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম আরিফুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।